এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেহেরান,০২ নভেম্বর : ইরানে চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ২২ বছরের কুর্দি তরুনী মাহাসা আমিনিকে পিটিয়ে মারার পর থেকে হিজাব ও কট্টর মৌলবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে । বিক্ষোভ দমন করতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারের পর বিচারের মুখোমুখি করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে । তবুও কিছুতেই বিক্ষোভে লাগাম টানতে পারছে না ইরান সরকার । বরঞ্চ প্রতিবাদের ভাষা আরও তীব্র হচ্ছে ।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু সঈদ আলি হোসেন খোনেইনির (Sayyid Ali Hosseini Khamenei) নেতৃত্বাধীন কট্টর মৌলবাদী সরকারের পতনের দাবিতে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আরও প্রবল আকার ধারন করেছে । দেশব্যাপী আবাসিক এলাকা, প্রধান সড়কপথ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তুমুল বিক্ষোভ চলছে । নরওয়ে ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) গ্রুপ বলেছে যে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার ইসফাহান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অবস্থান বিক্ষোভ করছে । তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারাও বিক্ষোভে সামিল হয়েছে । পাশাপাশি ইরানের আলেম ও মৌলবীদের টার্গেট করতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে,একজন মহিলা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া একজন ধর্মগুরুর কাছে যাচ্ছেন এবং তার পাগড়ি খুলে ফেলছেন। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাস স্টপে একজন আলেমের পাগড়ি খুলে দিচ্ছে একজন পথচারী যুবক । অন্য আরও একটি ভিডিওতে দুই তরুনকে ইরানের ধর্মগুরু খোনেইনির এক অনুগামী মৌলবী ইসফাহানের ইমাম জুমা ফ্লাওয়ারজনের (Imam Juma Flowerjon of Isfahan) কার্যালয়ে পেট্রোল বোমা ছুড়তে দেখা গেছে । বিক্ষোভের এই তীব্রতা দেখে ধর্মগুরুরা বলতে শুরু করেছেন,আমিনির মৃত্যুর পর ১৯৭৯ সাল থেকে দেশ পরিচালনাকারী ইসলামী প্রজাতন্ত্রের কাছে এখন এই জনরোষ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ।।