এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,৩১ অক্টোবর : যৌন নিপীড়নের শিকারদের গোপনাঙ্গে একটি বা দুটি আঙুল ঢুকিয়ে ভার্জিনিটি পরীক্ষা চালানোর বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট । সোমবার সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে যারা এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করে তাদের অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হবে । বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হিমা কোহলির একটি বেঞ্চ রায় দেওয়ার সময় বলেছেন যে এই ধরনের পরীক্ষা করার একমাত্র কারণ হল মেয়েটি যৌন সক্রিয় ছিল কিনা তা খুঁজে বের করা। এতে করে মেয়েটি আবারও যৌন নিপিড়নের শিকার হয় । এই পরীক্ষার “কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই” এবং “শুধু নারীদের পুনরায় শিকার এবং পুনরায় আঘাত করে” এবং এটি “চালিত করা উচিত নয়”।
২০১৩ সালে লিলু রাজেশ বনাম হরিয়ানা রাজ্য মামলায় সুপ্রিম কোর্ট দুই আঙুলের পরীক্ষাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিল । আদালত তখন একে ধর্ষণের শিকারের গোপনীয়তা ও মর্যাদার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছিল । আদালত বলেছিল যে দুই আঙুলের পরীক্ষা শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিকারক । কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও ধর্ষণের শিকার মহিলাদের ওপর এই ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠলে ২০১৯ সালে আবারও মামলাটি আদালতে ওঠে । এদিন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে,এটি মর্যাদা এবং গোপনীয়তার লঙ্ঘন, আইনের লঙ্ঘন । সুপ্রিম কোর্টের কথায়,’একজন নারীর সাক্ষ্য তার যৌন ইতিহাসের ওপর নির্ভর করে না। একজন নারীকে সেক্সুয়ালি অ্যাক্টিভ বলে ধর্ষণ করা হয়েছে বলাটা শুধুই পুরুষতান্ত্রিক এবং যৌনতাবাদী চিন্তা ।’।