এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুজরাট,৩১ অক্টোবর : গুজরাটের মরবির ঝুলন্ত সেতু ভাঙার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪১ জনে পৌঁছেছে । কিন্তু এই ১৪১ জন মানুষের হত্যার দায় কে নেবে,এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে । অনেকে এই ঘটনার জন্য মরবি পৌরসভা এবং ওরেভা ট্রাস্টকে দায়ি করেছেন । এই ঘটনায় খুনের চেষ্টার অভিযোগে মরবি বি ডিভিশন পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে । মরবিতে মাচু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ দলের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ৩০৪,৩০৮,১১৪ প্রভৃতি ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ । এই খবর জানিয়ে টুইট করেছেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি ।
উল্লেখ্য,২৩৩ মিটার দীর্ঘ এবং ৪.৬ ফুট চওড়া মরবিতে মাচু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতুটি কাঠ ও তার দিয়ে তৈরি ছিল । গুজরাটের রাজা স্যার ওয়াঘজি ঠাকুর মোরবির মাছু নদীর উপর সেতুটি নির্মান করিয়েছিলেন । তবে তখন রাজ মহল থেকে রাজ দরবার যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র রাজ পরিবারের লোকজন সেতুটি ব্যবহার করত। কালক্রমে এই সেতুর দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় মরবি পৌরসভার কাছে । সেতুটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রক্ষার জন্য, মেরামতের কাজ ট্রাস্ট দ্বারা জিন্দাল কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল । সেতুটির ১৫ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের সম্পূর্ণ দায়িত্ব পৌরসভা কর্তৃক অর্পিত হয়েছিল ওরেভা ট্রাস্টের উপর।
মোরবির বিশ্বমানের ঝুলন্ত সেতুটি গত সাত মাস ধরে মেরামতের জন্য বন্ধ ছিল এবং প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির সংস্কার কাজ করা হয় । সংস্কারের পর গত ২৬ অক্টোবর সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় । তারপর থেকে মোরবির আশপাশের গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ সেতুর ওপর দিয়ে হাঁটতে ভিড় জমায় । সেতু
ভেঙে পড়ার মর্মান্তিক ঘটনার দিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ ছিলে সেতুর উপর । তারা সকলেই নদীর জলে ডুবে যায় ।
এখন মরবি পৌরসভা এই ঘটনার দায় সেতু পরিচালনাকারী সংস্থা ওরেওয়া ট্রাস্টের উপর চাপিয়েছে । পৌরসভার প্রধান আধিকারিক ওরেওয়া ট্রাস্টকে অভিযুক্ত করে বলেন,’আমাদের গেটের অনুমতি না নিয়েই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল ।’ কিন্তু বিনা অনুমতিতে সেতু খুলে রেখে দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন ? কেন এতদিন অপেক্ষা করছিল পুরসভা ? এই সমস্ত প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা ।।