“আপনারা কেবলমাত্র জীবনের মধ্যভাগকেই দেখছেন তার শুরু বা শেষ কিছুই দেখতে পান না। সুতরাং মৃত্যুতেই যে সব ইতি এমন একটা ধারণা করা উচিত নয় । আমাদের মত এমন এক বুদ্ধিমান ও প্রাণবন্ত জীব মৃত্যুক্রোড়ে শায়িত হলেই হারিয়ে যাব – এমনটা ভাবাও অনুচিত। পূর্ণ মানবসত্তা হলো ভগবৎচেতনা ও সৃজনশীল চিন্তার পুঞ্জীভূত রূপমাত্র, যাকে দৈহিক মৃত্যু বিনষ্ট করতে পারে না। মৃত্যুই যদি শেষ পরিণতি হয় তাহলে বলবো ঈশ্বর বলে কিছু নেই, সিদ্ধ গুরু বলে কিছু নেই – সবই মিথ্যা। ভাল বা মন্দ যাই হই না কেন, যদি মরণেই সবকিছুর পরিসমাপ্তি ঘটতো, তাহলে মহাগুরুগণ কখনই আমাদের আরও উন্নতির জন্য প্রয়াস করতে বলতেন না । তাহলে শাস্ত্রের মূল্যই বা কি
থাকতো? সৎ মানুষরা কেন তাহলে আরও ভাল হবার জন্যে চেষ্টা করতেন? বর্তমান জীবনটাই যদি ব্যক্তি মানুষের সবকিছু হত, তাহলে ন্যায় বিচার বলে কিছুই থাকতো না । যারা অল্পদিনের জন্য জীবন ধারণ করছে অথবা যারা অন্ধ হয়ে কিম্বা পঙ্গু দেহ নিয়ে জীবন কাটিয়েছে-তাদেরই বা কি হত ?”