প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৮ অক্টোবর : ধান জমিতে ছিঁড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুৎতবাহী তারে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের । মৃতর নাম সরোজ মালিক (৩৩)। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার কানঘোসা গ্রামে । ঘটনা জানাজানি হতেই এদিন দুপুর থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।এলাকায় মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখায় যুবকের পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ।খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে বাধার মুখে পড়তে হয়।পরে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারে সক্ষম হয় । পুলিশ যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কানঘোষা গ্রামে যুবক সরোজ মালিকের বাড়ি । সে জামালপুরে একটি কাঠগোলায় শ্রমিকের কাজ করার পাশাপাশি সামান্য জমিও চাষ করতো । বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা মা, স্ত্রী ও এক শিশু সন্তান রয়েছে।সরোজের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন পরিবার পরিজন । প্রতিবেশী দেবু মাঝি ,বিপিন মালিকরা জানান,ছুটি থাকায় সরোজ এদিন কাঠগোলায় কাজে যায় নি । বেলা ১১ টা নাগাদ সে মাঠে তার জমি দেখতে যায় । তার পর থেকে অনেকটা দুপুর হয়ে যাবার পরেও সরোজ বাড়ি না ফেরায় তাঁর বাড়ির সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান । গ্রামের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পরিবারের লোকজন দুপুর আড়াইটৈ তিনটে নাগাদ মাঠে যান সরোজের খোঁজ করতে । তখন তারা দেখেন মাঠে ছিঁড়ে পড়ে থাকা সাবমার্সিবল লাইনের বিদ্যৎবাহী তারে জড়ানো অবস্থায় সরোজের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে“। বিপিন মালিক জানান, সরোজ
ছিল তাদের পরিবারের একমাত্র রোজগরে
ব্যক্তি । তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে গোট পরিবারটি অথৈ জলে পড়ে গেল । বিদ্যুৎ দফতর ও প্রশাসন পরিবারটির জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেক,এটাই তাঁরা চান ।
বিদ্যুৎ দফতরে (ডাব্লুবিএসিডিসিল) জামালপুরের ষ্টেশন ম্যানেজার মৃগাঙ্ক মান্না বলেন,’মাঠে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকার বিষয়ে কেউ আমাদের অফিসে জানায় নি ।অফিসে ফোন করেও কেউ কিছু জানায় নি,টোল ফ্রি নম্বরেও কেউ জানায় নি ।
অনভিপ্রেত ভাবেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। সবিস্তার খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।’।