দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৭ অক্টোবর : ওদের উৎসবের দিনেও ছুটি নেই । বরঞ্চ উৎসবের দিনে ওদের কাজের চাপ বাড়ে । কারন ওরা ডেলিভারি বয়-এর পেশার সঙ্গে যুক্ত ৷ পিঠে একটি বড়সড় ব্যাগ চাপিয়ে বাইক নিয়ে ছুটতে হয় দূরদূরান্তে । বৃহস্পতিবার ছিল ভাইফোঁটা,দম ফেলার ফুরসৎ ছিল না তাঁদের । তারই ফাঁকে কয়েকজন ডেলিভারি বয় দাদার কপালে ফোঁটা দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার অর্চিতা দত্ত ও মৌসুমি বিশ্বাস নামে দুই স্কুল ছাত্রী বোন । শুধু ফোঁটাই নয়, বাড়ির মতই যত্ন করে থালায় ৫-৬ রকম মিষ্টি,ঘুগনি আর লুচি দাদাদের খেতে দেন তাঁরা । অবশ্য দাদার দায়িত্বও পালন করেছেন কাটোয়া শহরের বাসিন্দা সনৎ হাওলাদার, সুবোধ সরকার, মনোরঞ্জন সিনহা, কৌশিক হাজরা ও তুহিন দাস নামে ওই ডেলিভারি বয়রা । তাঁরাও বোনেদের হাতে তুলে দিয়েছে সাধ্যমত উপহার ।
পবিত্র এই দিনটি এভাবে উদযাপনে উদ্যোগী হয়েছিল কাটোয়ার রেনবো সোসাইটি নামে একটি সংস্থা । কাটোয়া শহরের সংস্কৃতি চক্রে এলাকার ৫ জন ডেলিভারি বয়ের জন্য ভাইফোঁটার আয়োজন করেছিল ওই সংস্থাটি । অর্চিতা ও মৌসুমি বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থায় যারা ডেলিভারি বয়ের কাজ করেন তাঁরা উৎসবের দিনেও ছুটি পাননা । ভাইফোঁটা নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তাঁদের কোনো উপায় নেই । কাজের চাপে হয়তো ভাইফোঁটাই নেওয়াই হয়না । তাই এলাকার কয়েকজন ডেলিভারি বয় দাদার জন্য এদিন ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল ।’
সনৎ হাওলাদার, সুবোধ সরকাররা বলেন,’অনান্য বছরের মত এবারেও আমাদের ভাইফোঁটা নেওয়া হত না । দুই বোনের কাছে ভাইফোঁটা নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে । ইশ্বর ওদের মঙ্গলকরুন ।’পাশাপাশি তাঁরা ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য কাটোয়ার ওই সংস্থাটির প্রতি কৃতিজ্ঞতা জানিয়েছেন ।।