এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু ও কাশ্মীর,২৬ অক্টোবর : ঋষি সুনাক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় খুশি প্রকাশ করলেও ভারতে সংখ্যালঘু প্রধানমন্ত্রী না হওয়ায় আফশোসের সুর শোনা গেল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতির গলায় । মেহবুবা টুইট করেছেন, ‘প্রথমবারের মত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়া গর্বের মুহূর্ত। সমগ্র ভারত আজ এই মুহুর্ত উদযাপন করছে, তবে মনে রাখা ভাল হবে যে যুক্তরাজ্য একটি জাতিগত সংখ্যালঘু সদস্যকে তার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করেছে । আর আমরা এখনও এনআরসি এবং সিএএর মতো বিভাজনকারী এবং বৈষম্যমূলক আইন নিয়ে পড়ে আছি ।’
এদিকে মেহবুবা মুফতির এই টুইট শেয়ার করে কবি কুমার বিশ্বাস তাঁকে কটাক্ষ করে লিখেছেন,’ঠিক বলেছেন মাসি, ডক্টর জাকির হুসেন, ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ, ডক্টর মনমোহন সিং, ডক্টর কালাম সাহেবের মতো সংখ্যালঘু ভারতীয়দের নেতৃত্বে ভারত অনেক উন্নতি করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরে যে ধর্মকে জোর করে সংখ্যালঘু বানানো হয়েছে তাকে মুখ্যমন্ত্রী করার চেষ্টাও এখন শুরু করা উচিত ।’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদও মেহবুবা মুফতির টুইটের জবাবে লিখেছেন, ‘ঋষি সুনাক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মন্তব্য করে মেহবুবা মুফতির একটি টুইট দেখেছি। মুফতিজি, আপনি কি জম্মু ও কাশ্মীরের সংখ্যালঘুদের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন? দয়া করে পরিষ্কার উত্তর দিন ।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু । নিজের ধর্মকে নিয়ে গর্ব করে সুনাক বলেছিলেন, ‘আমি গর্বিত হিন্দু ।’ বর্তমানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিট তাঁর ঠিকানা । তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতীয়রা খুবই খুশি । কিন্তু পাকিস্থান ও পাকিস্থানপন্থীদের মধ্যে হতাশার ছাপ স্পষ্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে । আর বিভিন্ন ভাবে তারা সেই হতাশা প্রকাশ করছে ।।