এইদিন ওয়েবডেস্ক,বার্মা,২৫ অক্টোবর : মিয়ানমারের একটি জাতিগত সংখ্যালঘুর সদস্যরা বলছে যে একটি কনসার্টে সেনাবাহিনীর বিমান হামলার ফলে সঙ্গীতশিল্পী,বাদ্যযন্ত্র শিল্পীসহ প্রায় ৮০ জন নিহত হয়েছে । আহত হয়েছে শতাধিক । রবিবার (২৩ অক্টোবর ২০২২) রাতে এই ঘটনাটি ঘটে । ওইদিন জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (KIO) দ্বারা হাপাকান্ট (Hpakant) টাউনশিপে সংগঠনের ৬২ তম বার্ষিক উদযাপনের অনুষ্ঠান চলছিল । সেই সময় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার ঘটনাটি ঘটে । মিয়ানমারের সামরিক সরকারের গোয়েন্দা অফিস সোমবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা কাচিন স্বাধীন সংস্থার সামরিক সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে কাচিন গোষ্ঠী দ্বারা সংগঠিত “সন্ত্রাসবাদী” কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় এই আক্রমণটি একটি “প্রয়োজনীয় অপারেশন” ছিল ।
এদিকে মিয়ানমারে জাতিসংঘের কার্যালয় একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে তারা বিমান হামলার প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও দুঃখিত” । এই হামলার জন্য দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে ।
যুক্তরাষ্ট্রসহ মিয়ানমারে অবস্থিত পশ্চিমি দেশগুলোর দূতাবাসের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে বলেছে যে এই হামলা থেকে বোঝা যায় যে মিয়ানমারের সামরিক শাসন সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবিক নীতি ও আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দায়িত্বকে উপেক্ষা করছে । উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারির ১ তারিকে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চলছে । মিয়ানমার বর্তমানে সামরিক জান্তা দ্বারা শাসিত হচ্ছে । একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর মতে, অভ্যুত্থানের বিরোধীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযানে প্রায় ২,৪০০ সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে ।।