এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিউড়ি(বীরভূম),২২ অক্টোবর : চোর মুক্ত বাংলার জন্য দেবী কালীর কাছে প্রার্থনা জানানোর পরামর্শ দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । শনিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের সিউড়ির একটি ক্লাবের কালীপূজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শুভেন্দু । উদ্বোধন শেষে তিনি একটি সভায় বক্তব্য রাখেন । তখন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,’মায়ের কাছে আপনারা তো পুষ্পাঞ্জলি দেবেন,রাত্রি যাপনও করবেন । নিজের পরিবারের মঙ্গলকামনার পাশাপাশি মাকে বলবেন-মা তুমি যেমন করোনা মুক্ত,মাস্ক মুক্ত করেছ,পরের বছর যেন আমরা চোর মুক্ত বাংলা দেখতে পাই। চোর মুক্ত বাংলার জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাবেন আপনারা ।’
বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে গিয়ে কার্যত তাঁকে তুলোধুনো করেন শুভেন্দু । অনুব্রতর নাম না করে তিনি বলেন,’খুব বড় বড় নেতা । গুড় বাতাসা,চড়াম চড়াম,উন্নয়ন নিয়ে কি লেকচার ! বাপরে বাপ ! সবাই কাঁপছে কলাপাতার মত । অশিক্ষিত মুর্খ নিজের নাম লিখতে জানে না । বাবার নাম লিখতে জানে না । রামপুরহাটে মাগুর মাছ বিক্রি করত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে, পুলিশের দৌলতে এরা ভাত,মাছ, চিকেন খায় না । এরা কয়লা খায়,বালি খায়, গরু খায় ।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শচিন তেণ্ডুলকর ও লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তুলনা করা নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে এদিন “চটি চাঁটা” বলে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন,’কোন দেশে আমরা আছি? কেউ মা সারদামনির সঙ্গে মিথ্যাশ্রীকে তুলনা করছে । কেউ রানী রাসমনির সঙ্গে তুলনা করছে । আজকে তো একজন চটি চাটা শচীন তেন্ডুলকর আর লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তুলনা করেছেন । পশ্চিমবঙ্গের যিনি রামপুরহাটের বগডুইতে এসে পার্মানেন্টের চেক দেন, কারন তারা ভোট ব্যাঙ্ক । আর মালে গিয়ে দূর্গাভক্তদের বলেন তোরা সিভিক ভলান্টিয়ার হবি? কাকে তুলনা করছে ? এদের বিদায় না দিলে সনাতন সংস্কৃতি থাকবে না । তাই ঐক্যবদ্ধ হন ।’ শুভেন্দু আহ্বান জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গে সনাতনি সংস্কৃতিকে যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে সব রাষ্ট্রবাদীকে গেরুয়া ধ্বজের নিচে একত্রিত হতে হবে । মুখে বন্দেমাতরম মন্ত্র থাকবে,হাতে থাকবে গীতা । যে গীতা বলেছে, ধর্ম রক্ষতি রক্ষিত ।’।