এইদিন ওয়েবডেস্ক,লন্ডন,২১ অক্টোবর : প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনী প্রচারের সময় দেশের অর্থনীতিকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লিজ ট্রাস তাতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন । উলটে দেশের অর্থনীতি লাইনচ্যুত হওয়ায় পদত্যাগ করতে হয়েছিল অর্থমন্ত্রী কোয়াজি কোয়ার্টেংকে । নতুন অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর জেরেমি হান্ট কোয়ার্টেংয়ের প্রায় সমস্ত সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়েছিলেন । তাতেও চাপ কমেনি ট্রাস সরকারের ওপর । এমনকি নিজ দলের সংসদ সদস্যরাও ট্রাসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন । শেষ পর্যন্ত লিজ ট্রাসের ৪৫ দিনের কার্যকালের পরিসমাপ্তি হল বৃহস্পতিবার । এখন প্রশ্ন কে হবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ? দেশকে বেহাল অর্থনীতি থেকে কে উদ্ধার করবেন ? ব্রিটেনের জনপ্রিয় নেতা জেরেমি হান্ট ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই । তাই কেবল ঋষি সুনাকের নামই সামনে আসছে এখন ।
উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী কোয়াজি কোয়ার্টেং প্রথম দিনে একটি ‘মিনি বাজেট’ ঘোষণা করে ৪৫ বিলিয়ন কর কমানোর আহ্বান জানিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত বাজারে খুবই বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং বাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি করে। মুদ্রাস্ফীতি অনিয়ন্ত্রিত হতে শুরু করে এবং স্থানীয় মুদ্রা আরও দুর্বল হতে থাকে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বাজারে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। তা সত্ত্বেও লিজ ট্রাস বলেছিলেন যে সময় বিবেচনা করবে যে তাঁর এটি সঠিক পদক্ষেপ ছিল । কিন্তু ঋষি সুনাক ট্রাসের কর হ্রাস নীতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেন, অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে । আর হয়েছেও তাই ।
এদিকে ট্রাস সরকারকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার নিজের দলেই শুরু হয় প্রতিবাদ। শেষে কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত করে জেরেমি হান্টকে অর্থমন্ত্রী করা হয় । তাতেও ট্রাসের সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়নি । শেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন লিজ ট্রাস ।
প্রায় ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ট্রাস। এর ফলে তিনি ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এর আগে জর্জ কনিং ১৮২৭ সালে মাত্র ১১৯ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন । তবে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়নি,মৃত্যু হয়েছিল তাঁর ।।