এইদিন ওয়েবডেস্ক,আসানসোল,২০ অক্টোবর : দুই দশক আগে মোমিনপুর-ইকবালপুর-খিদিরপুরে হিন্দু জনসংখ্যা ৫০ শতাংশের উর্ধে ছিল,এখন সেটা ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে বলে দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । বৃহস্পতিবার রাতে আসানসোল নুনী মোড়ে কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু । সেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নোয়াখালীতে এক দিনে ১০ হাজার হিন্দু খুন করেছিল । একইভাবে লক্ষ্মীপুজোর দিন মোমিনপুর, ইকবালপুর,খিদিরপুরে ১০০ হিন্দুর বাড়ি দোকান ভেঙেছে জ্বালিয়েছে । ৩০ টা মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে । আমাদের হিন্দু মায়ের মাথা ফাটিয়েছে । বিশ বছর আগে ওই এলাকায় হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৫০ শতাংশ এর বেশি । আজ মোমিনপুর,ইকবালপুর, খিদিরপুরে হিন্দু জনসংখ্যা ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে ।’ শুভেন্দু বলেন,’এরা সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে হিন্দু শূণ্য করতে চায় । আর হিন্দু শুন্য হলে তালিবান হবে, আআফগানিস্তান হবে । তখন বলবে হয় ধর্ম ছাড়ো, নয় দেশ ছাড়ো । পালাবেন কোথায় ? ওদিকে পাকিস্তান । এদিকে বাংলাদেশ আর এপাড়ে বঙ্গপসাগর । নয় বঙ্গপসাগরে ঝাঁপ দিয়ে হবে নয় ইসলামি দেশে গিয়ে মাথা নিচু করে ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে । তাই এখনো বাংলার হিন্দুরা যদি না জাগেন তো জাগবেন কবে ?’
তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘মোদীজি অযোধ্যার ফৈজিবাদে ভগবান রামচন্দ্র মহারাজের মন্দির নির্মান করছেন । কেদারবদ্রী ধাম নবরূপে সাজিয়েছেন । কাশী বিশ্বনাথ ধাম নবরূপে সজ্জিত করেছেন। উজ্জয়নীতে মহাকাল করিডর করেছেন । দেওঘরে বিমানবন্দর করেছেন । আর আমাদের তারাপীঠ, দক্ষিনেশ্বর, কালীঘাট, কোচবিহারে মদনমোহন মন্দির, তারকেশ্বরে বাবা ধামে একটা ইঁট তো দূরের কথা রঙের প্রলেপ পর্যন্ত এই তোষনবাজ রাজ্য সরকার দিতে পারেনি ।’
শুভেন্দু বলেন,’আমাদের রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন জয় শ্রীরাম নাকি গালি । আমাদের রাজ্যের এক নেত্রীকে আসানসোলে পাঠানো হয়েছিল । তিনি শিবলিঙ্গকে কিভাবে অপমান করেছে দেখেছেন । আসানসোলের মানুষ অগ্নিমিত্রা পালকে জিতিয়ে তাকে টা টা বাই বাই করে দিয়েছে । কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন মা কালি নাকি গাঁজা খায়,সিগারেট খায়,মদ খায় । তারাপীঠকে উদাহরণ হিসাবে দেখায় । এ জিনিস হিন্দুরা বর্দাস্ত করবে না । এই কথা যদি বিহারে বলতো,ঝাড়খণ্ডে বলতো,উত্তর প্রদেশে বলতো তাহলে যত আলকাতরা দোকানে ছিল সব ওদের মুখে লাগাতো । আর পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের চামড়া গন্ডারের মত হয়ে গেছে । তাই হিন্দুদের জাগানোর জন্য আমরা এসেছি । হিন্দুদের ঘুম ভাঙানোর জন্য এসেছি । রাষ্ট্রবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এসেছি ।’
তিনি বলেন,’সব শেষে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গীতার একটা লাইন বলে বক্তব্য শেষ করবো । তা হল, ‘ধর্ম রক্ষতি রক্ষিত’ -ধর্ম যদি রক্ষা হয় সব কিছু হবে । ধর্ম যদি না থাকে ৫০০ টাকা ভাতা নিয়ে কিছু হবে না ।’।