দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৬ অক্টোবর : বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঝাঁ চকচকে প্রাসাদোপম বাড়ি । বাড়িতে মজুত দামি এলইডি টিভি,ফ্রিজসহ যাবতীয় আধুনিক উপকরণ । সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার পঞ্চাননতলার বাসিন্দা বাদশা শেখের হঠাৎ বড়লোক হয়ে যাওয়ার পিছনে কারন খুঁজে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা । শনিবার রাতে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) ও কাটোয়া থানার পুলিশের যৌথ বাহিনী পঞ্চাননতলা এলাকায় কাটোয়া-করুই রোডে বাদশার বাড়িতে হানা দিতেই বেড়িয়ে আসে আসল রহস্য । উদ্ধার হয় ২ কেজির উপর ব্রাউন সুগার । যার বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা । বাড়ির ভিতরে কার্নিশে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওই মাদক ।
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী দল জানতে পেরেছে, রাজ্য জুড়ে ব্রাউন সুগার সরবরাহ করত বাদশা । এজেন্টের হাত ঘুরে পৌঁছে যেত জেলায় জেলায় । এদিকে নাকের ডগায় বাদশা যে মাদক পাচারের এতবড় কারবার ফেঁদে বসেছে তা শুনে হতবাক প্রতিবেশীরা । পুলিশ জানিয়েছে,চক্রটি ছোটখাটো নয়,যথেষ্ট বড় । বাকিদের হদিশ পেতে বাদশা শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।
উল্লেখ্য,সাম্প্রতিক সময়ে কাটোয়া মহকুমা এলাকায় বহু গরু পাচারকারী ধরা পড়ার ঘটনা ঘটেছে । উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গরু । গাঁজা ও আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতে গিয়েও ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন । কিছুদিন আগে কাটোয়া থানা এলাকার রাজুর গ্রামে হেরোইন তৈরির একটি কারখানারও হদিশ পেয়েছিল এসটিএফ । বিপুল পরিমানে হেরোইন উদ্ধারের পাশাপাশি তখন ৬ জন হেরাইন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল । একের পর এক এই সমস্ত বেআইনি কারবার প্রকাশ্যে আসায় স্থানীয়দের আশঙ্কা গরু,অস্ত্র ও মাদক পাচারের করিডর হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছে দুষ্কৃতী চক্র । গরু পাচার মামলা নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হতেই পুলিশের নজরদারি বেড়েছে । তাই গরু পাচারের পাশাপাশি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক পাচার চক্রেরও এবার সন্ধান মিলছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের ।।