প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৬ অক্টোবর : চোখের চিকিৎসা করানোর জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইউএসএ গিয়েছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানালেও না মানইডি,সিবিআই এর ইনট্রোগেশন থেকে বাঁচতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ইউএসএ পালিয়ে গেছেন।তে নারাজ বিজেপি । বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রবিবার বর্ধমানে এসে দাবি করেন, ইডি, সিবিআই এর ইনট্রোগেশন থেকে বাঁচতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ইউএসএ পালিয়ে গেছেন।২০২৪ সাল পর্যন্ত অভিষেক বাইরেই থাকবেন বলে সৌমিত্র খাঁ মন্তব্য করেন।পাশাপাশি তিনি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সহ নানা ইশুতে এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যদিও সৌমিত্র খাঁর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ।
বাঁকুড়া থেকে কলকাতা যাবার পথে রবিবার দুপুরে ক্ষণিকের জন্য বর্ধমান সদর বিজেপি কার্যালয়ে ঢোকেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।সেখানেই সৌমিত্র খাঁ সাংবাদিকদের জানান, ’সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি এক চোখের ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন সেই হাসপাতালে আমার এক বন্ধুকে দিয়ে খোঁজ নিয়ে নিয়েছি । খোঁজ নিয়ে জেনেছি ,তিনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) সেখানে শুধুমাত্র চোখ দেখিয়েছেন।ইডি,সিবিআই এর ইনট্রোগেশন থেকে বাঁচতেই তিনি ইউএসএ তে পালিয়ে গেছেন।২০২৪ সাল পর্যন্ত অভিষেক বাইরেই থাকবেন বলে মন্তব্য করেন সৌমিত্র খাঁ।পাশাপাশি তিনি এও বলেন,অভিষেকের স্ত্রী ও শালিকার ডাক পড়েছে, এর পর অভিষেকের ডাক হতো ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মানিক ভট্টাচার্যের করা চাকরি প্রার্থীদের লিস্ট পাওয়া যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তার বেশীরভাগ কাজ হয়েছে বলে সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ করেন। শিবপুরে টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ বলেন,’পশ্চিমবঙ্গে কয়লা ও বালি পাচার নগদ লেনদেনের মাধ্যমে হয়। তাই এখানে টাকা উদ্ধার হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয় ।’ মেট্রো রেলের কাজের জন্য কলকাতার বউবাজারে ফের একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরা প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ’পুরোনো শহরে এই ধরনের প্রজেক্ট করতে গেলে কিছু ক্ষতি হয়।মেট্রো রেলের কাজের নকশা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতই পরিবর্তন করা হয়েছে।সৌমিত্র খাঁ পাল্টা প্রশ্ন তোলেন,’এর আগেও বড় বাজারে ওভারব্রিজ ভেঙে কত মানুষের প্রাণ গেছে ?’
কেন্দ্র এই রাজ্যে একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনার টাকা আটকে দিয়েছে বলে তৃণমূলের করা অভিযোগ প্রসঙ্গ সৌমিত্র খাঁ জানান, ’মুখ্যমন্ত্রী তো নিজেই বলেছিলেন একশো দিন ও আবাস যোজনার টাকা আমাদের দরকার নেই’।শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বিজয় সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি বিজেপি নেতাদের ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখার নিদান দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে সৌমিত্র বলেন, আমরা এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল করবো । তার পরেই জেলা পরিষদে দেবু টুডু যে দুর্নীতি করেছেন তার তদন্ত হবে বলে সৌমিত্র খাঁ জানান ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর করা মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতন মুখপত্র দেবু টুডু। পাল্টা অভিযোগে তিনি বলেন,’অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতাকে ভয় পায় বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্য নেতারা । তাই বিদেশে চোখের চিকিৎসা করাতে যাওয়া তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে বিজেপি নেতারা মিথ্যাচার করছে ।
বিধানসভা নির্বাচনে বংলার মানুষ বিজেপি কে যোগ্য জবাব দিয়েছে। ইডি ও সিবিআই কে বিজেপি যতই কাজে লাগাক ,২০২৪ শে গোটা দেশের মানুষ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে ।’।