প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৬ অক্টোবর : রাজ্যে দাপট বাড়িয়েই চলেছে ডেঙ্গু। যার প্রভাব পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বিদ্যমান রয়েছেে। গত ৪১ সপ্তাহের রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭৮ জন । তার মধ্যে শুধু কালনা মহকুমাতেই রয়েছে ১২৯ জন আক্রান্ত।আর গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ জন। তার মধ্যে রয়েছেন কালনা মহকুমার ৪৮ জন আক্রান্ত । কালনা মহকুমায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর । জেলার উপ স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন,’কালনা মহকুমায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে তাঁরা যথেষ্টই উদ্বিগ্ন রয়েছেন। আর কয়েকটা দিন দেখার পরে কালনা মহকুমা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রুপায়ন করা হবে।ব্লক ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে বাড়ি বাড়ি সচেতনতা প্রচার চালানোর ব্যাপারে জোর দিতে বলা হয়েছে ।’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর বৃহস্পতিবারের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে এক সপ্তাহের মধ্যে কালনা ১ ব্লকে ১০ জন, পূর্বস্থলী ১ ও কালনা ২ ব্লকে ৮জন ও পূর্বস্থলী ২ ব্লকে ১৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ধরা পড়েছে। এছাড়াও মন্তেশ্বর ও কালনা পুরসভাতে ২ জন করে ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ পেয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এবার ৪১ সপ্তাহে এসে কালনা শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ পেল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সৃত্রে এও জানা গিয়ছে,গত এক সপ্তাহে জেলার কালনা মহকুমা বাদে বাকি ১০ টি ব্লক ও বর্ধমান শহর মিলিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। যার মধ্যে কাটোয়া ১ ব্লকে রয়েছে ৬ জন ও বর্ধমান শহরে ৫ জন আক্রান্ত রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, গত সপ্তাহে জেলার ৯টি ব্লক ও ৩ টি পুরসভায় একজনও ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। এতকিছুর মধ্যেও যেটা সুখবর তা হল ভাতার ও মঙ্গলকোটে ঊর্দ্ধমুখী থাকা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
জেলার উপ-স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামীর দাবি,’পুজোর পরে ডেঙ্গি প্রকোপ বাড়ে। সেই মতো আগান প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।’ কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী ২ ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্ত বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে ব্লক প্রশাসনের দাবি,
‘পুজোর সময়ে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরে আসে । তাঁদের মধ্যে ডেঙ্গুর উপসর্গ ছিল ।’ জেলাপরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম বলেন,’পূর্বস্থলী ২ ব্লকে আনাজের পাইকারি বাজার ও তাঁত কাপড়ের হাট রয়েছে। কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগণার মতো ডেঙ্গু প্রবণ জেলার সঙ্গে ওই এলাকার মানুষের প্রতিদিন যোগাযোগ। সে কারণে ওই এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি বলে মনে করা হচ্ছেে ।’।