প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ অক্টোবর : রাজ্যের পাওনা টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ।যতদিন না কেন্দ্রের সরকার রাজ্যের পাওনা টাকা দিচ্ছে ততদিন বিজেপি কে মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হবে না। বিজেপি মিটিং মিছিল করতে এলে ওদের ’ল্যাম্পপোস্টে’ বেঁধে রাখা হবে। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় অনুষ্ঠিত তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চ থেকে বিজেপিকে শায়েস্তা করার এমনই নিদান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সবাধিপতি দেবু টুডু ।যা নিয়ে বেজায় চটেছেেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা তৃণমূল নেতা দেবু টুডুর মন্তব্যের বিরোধীতায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। তা মাথায় রেখে
তৃমূলের পুরানো কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ব্লকে ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনের বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী । সেই মত এদিন আশগ্রামের গুসকরায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে তৃণমূল নেতৃত্ব । সেই বিজয়া সম্মিলনীর সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে তৃণমূল নেতা দেবু টুডু প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান । তিনি বলেন ,“কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এই রাজ্যের গরিব মানুষদের একশো দিনের কাজের টাকা ও আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে। এমনকি রাজ্যের পাওনা টাকাও কেন্দ্রের সরকার দিচ্ছে না।আদিবাসী গরিব খেটে খাওয়া মানুষের টাকা পর্যন্ত বিজেপি সরকার আটকে রেখেছে। তাই সবাই এর প্রতিবাদ করুন । পাওনা টাকা না দিলে ওদের (বিজেপিকে) মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হবে না।ওরা মিটিং মিছিল করতে এলে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন। ওদের বলেদিত হবে ,আগে পাওনা টাকা মেটাও,তারপর মিটিং মিছিল করো“। দেবু টুডুর এই বিতর্কিত মন্তব্যই শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
তৃণমূল নেতার বক্তব্য শুনুন :-
একই দিনে আউশগ্রাম ১ ব্লকের গোবিন্দপুরে দলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের জয়গান করেন,তৃণমূল ছাত্রপরিষদের রাজ্য সহ সভাপতি সুদীপ রাহা ।মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে পাশে নিয়ে সুদীপ রাহা বলেন, ’ ইডি সিবিআইকে ব্যবহার করে অনুব্রত মণ্ডলকে ফাঁসানো হয়েছে ।কিন্তু হাতে করে ‘টাকা নেওয়ার ভিডিও থাকা সত্ত্বেও ইডি সিবিআই শুভেন্দু অধিকারীকে ধরেনি ।অথচ অনুব্রত মণ্ডলকে কখনো ওইভাবে টাকা নিতে দেখা যায়নি । অনুব্রত মণ্ডল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে বন্দি করে রাখার মত এতবড় জেল এখনও তৈরি হয়নি ।’
তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের এই সব বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির জেল সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, “তৃণমূল সরকার শিক্ষকদের চাকরী চুরি করেছে।টাকা নিয়ে অযোগ্যদের চাকরীতে ঢুকিয়েছে।এখন সেইসব নেতারা, মন্ত্রীরা ধরা পড়ছে।গরু ও কয়লা পাচারে যোগ সাজোস থাকার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে ইড ও সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে । আরো অনেকে ধরা পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ।এতদিন তৃণমূলের নেতারা বলতো সব টাকা নাকি দিদি দেয়।আর এখন তারা বলতে বাধ্য হচ্ছেন টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দেওয়া টাকা নিয়ে একশোদিনের কাজে, আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়েছে ।অডিট রিপোর্টে তা ধরা পড়েছে।সেটা আড়াল করতে তৃণমূলের নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। আর অনুব্রত মণ্ডল দোষী কি দোষী নয় সেটার বিচার তৃণমূলের কোন নেতা করবে না ,করবে আদলত ।’।