এইদিন ওয়েবডেস্ক,চন্ডীগড়,১৩ অক্টোবর : জেলবন্দী আসামিদের বংশ বৃদ্ধির জন্য স্ত্রীর সঙ্গে মিলনেরনসুযোগ দেওয়া হচ্ছে পাঞ্জাবের জেলগুলিতে । পাঞ্জাব সরকারের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই ইন্দওয়াল সাহেব, নাভা, লুধিয়ানা এবং বাথিন্ডা জেলে জেলের বন্দীদের তাদের স্ত্রীদের সাথে মিলনের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা ঘর । ওই ঘরগুলিতে রয়েছে ডাবল বেড, টেবিল ও সংযুক্ত বাথরুম । পাঞ্জাবের সব কারাগারেই এই সুবিধা চালুর প্রস্তুতি চলছে । তবে এই সুবিধা প্রত্যেক অপরাধীর জন্য নয়। কুখ্যাত অপরাধী, গুন্ডা ও যৌন অপরাধীদের সাজা ভোগ করা বন্দীরা এই সুবিধা পাবেন না বলে জানা গেছে । এক কারা কর্মকর্তা জানান, বন্দিকে প্রথমে কারা প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে হবে । আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেলে, ভালো আচরণের ভিত্তিতে বন্দিদের তাদের স্ত্রীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত সময় কাটানোর অনুমতি দেবে কারা কর্তৃপক্ষ ।
উল্লেখ্য, গুরুগ্রামের এক মহিলা তাঁর জেলবন্দি স্বামীর সঙ্গে একান্তবাসের দাবি জানিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিলেন । ওই মহিলার স্বামীকে গুরুগ্রাম আদালত হত্যা ও অন্যান্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে । ২০১৮ সাল থেকে তিনি ভন্ডসি জেলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন । এর আগে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন জসভীর সিং নামে এক বন্দী । দুটি ক্ষেত্রেই সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের আশ্রয় নিয়ে দাবি জানানো হয়েছিল বংশ বিস্তারের জন্য জেলের মধ্যে স্বামীর স্ত্রীর মিলনের ব্যবস্থা করতে হবে । জসভীর দাবি করেছিলেন, গর্ভবতী না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে থাকতে দিতে হবে । যদিও তখন এই দাবি খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট । পরিবর্তে হাইকোর্ট হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং চণ্ডীগড়কে এই বিষয়ে একটি নীতি প্রণয়নের জন্য একটি জেল সংস্কার কমিটি গঠন করতে বলেছিল । এরপরেই জেলের বন্দীদের তাদের স্ত্রীদের সাথে মিলনের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয় পাঞ্জাব সরকার ।।