জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৯ অক্টোবর : পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম ১ ব্লকের অন্তর্গত ছোট্ট গ্রাম কেলেটি । হিন্দু ও উভয় সম্প্রদায়ের মানুষদের বসবাস । আর্থিক কারণে দুর্গাপুজো সহ প্রায় কোনো পুজো হত না গ্রামে । বাধ্য হয়ে গুসকরাতে সবাই ঠাকুর দেখতে যেত। তখন তো আর যোগাযোগ ব্যবস্থা এত ভাল ছিল না। গরুর গাড়ি ছিল প্রধান ভরসা। ‘মা’-কে আনার মত আর্থিক সামর্থ্য না থাকার জন্য মায়ের সন্তান লক্ষ্মীকে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সেই শুরু। তারপর ধারাবাহিক ভাবে এখানে ধুমধাম সহকারে লক্ষ্মী পুজো শুরু হয়। এসব প্রায় একশ বছর আগেকার ঘটনা ।
প্রথম থেকেই এখানে তিনদিন ধরে পুজো হয়। পুজোর সময় হিন্দু, মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই অংশগ্রহণ করে । ফলে পুজোর মধ্যে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন স্থাপিত হয়। হঠাৎ নয়, এটা ধারাবাহিকভাবেই চলে আসছে । পুজোর সময় তিনদিন ধরে বাউল সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অর্থাৎ পুজোর সময় আনন্দের কোনো ঘাটতি থাকেনা। তবে শোনা যাচ্ছে এবার নাকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। এতে অবশ্য পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে কোনো ক্ষোভ নেই ।
স্থানীয় যুবক প্রতাপ মণ্ডল বললেন,’আমাদের ছোট্ট গ্রাম। লক্ষ্য আগামী বছর থেকে দুর্গাপুজো শুরু করা। তাই লক্ষ্মীপুজো থেকে কিছুটা খরচ বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। সরকারের কাছেও আবেদন করব যাতে সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়। তবে অনুষ্ঠান ছাড়া লক্ষ্মীপুজোর জৌলুস কিন্তু কমছে না। আমরা যথারীতি পুজোর আনন্দে মেতে উঠব ।’।