প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৮ অক্টোবর : বাড়ির দোতলার একটি ঘর থেকে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হল পরিবার কর্তার রক্তাক্ত নিথর দেহ । যা নিয়ে শনিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। মৃতর নাম উৎপল গুপ্ত (৪৯)। কালনা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে মৃত ব্যক্তির ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।পরিবার সদস্যরা যদিও দাবি করেছেন, মদ্যপ অবস্থায় ঘরে থাকা কাঁচের বস্তুর উপর বেকায়দায় পড়ে গিয়ে গলা কেটে যাওয়াতাকেই উৎপল বাবু মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার
ডাঙ্গাপাড়া নিবাসী উৎপল গুপ্ত পেশায় ছিলেন
সেলসম্যান। মৃতের স্ত্রী শিপ্রা গুপ্ত বলেন,’আমার স্বামী মদের নেশা করতেন। এদিনও বেলায় মদ খেয়ে ছিল আমার স্বামী । দুপুরে খাওয়া দাওয়া সেরে সবাই শুয়েছিলেন।ওই সময়ে গাড়ির চাবি নিয়ে তাঁর স্বামী ফের মদ খেতে যাচ্ছিল।তা দেখে আমার ছেলে সায়ন্তিক চাবিটি কেড়ে নিয়ে ঘরে চলে আসে।আমি ও আমার ছেলে একই ঘরেই ছিলাম।স্বামী ছিল অন্য ঘরে। এরপরেই হঠাৎ জোর আওয়াজ হতেই ছেলেকে বলি বাবার ঘরে গিয়ে কি হয়েছে দেখতে ।ছেলে সায়ন্তিক ঘরে গিয়ে দেখে ভাঙা কাঁচের উপরে আমার স্বামীর নিথর থেহ পড়ে রয়েছে।স্বামীর গলা দিয়ে অঝোরে রক্ত বের হচ্ছে।’ ছেলে সায়ন্তিক গুপ্ত জানান,তাঁর বাবা এদিন সকাল থেকে তিন চারবার মদ খেয়ে ঘরে এসেছিল।ফের বিকালে মদ খাবার জন্য মিথ্যা কথা বলে গাড়ির চাবি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল।তাই তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে গাড়ির চাবিটা কেড়ে নিয়ে মায়ের ঘরে চলে যান।এর খানিক পরেই অন্যঘরে জোর আওয়াজ হতেই তিনি সেখানে ছুটে যান । ওই গরে গিয়ে দেখেন,তাঁর বাবার গলা থেকে রক্ত বের হচ্ছে ।
খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি পুলিশ মৃতর ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। নিছকই দুর্ঘটনার কারণে উৎপল গুপ্তর মৃত্যু হয়েছে না কি খুন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কালনা থানার এক পুলিশ কর্তা বলেন,’ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই উৎপল গুপ্তর
মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে । তার ভিত্তিতে
পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।’।