এইদিন ওয়েবডেস্ক, ক্যানিং(দক্ষিণ ২৪ পরগণা),০৭ অক্টোবর : ভিন ধর্মের এক নাবালিকাকে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে এসে বিয়ের তোরজোর সবে শুরু করেছিল এক যুবক। খবর পেয়েই বিয়েবাড়িতে গিয়ে ওই বিয়ে রুখে দিলেন স্থানীয়রা। শুক্রবারের ঘটনা।ওই ঘটনায় রাজীব সরদার নামে এক যুবককে আটক করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জানা যায়,বাসন্তী থানার ১০ নম্বর কুমড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ গাজীর বাড়িতে হঠাৎ করে এদিন বিয়ের আয়োজন শুরু হয়। বিয়ে উপলক্ষ্যে তাদের আত্মীয়স্বজনরাও জড়ো হন ইউসুফ গাজীর বাড়িতে। কিন্ত খবর নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন জানতে পারেন ওই পরিবারের কারও বিয়ে হচ্ছে না। পাত্র পাত্রী দুজনেই এলাকার অপরিচিত মুখ। স্বভাবতই স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা খোঁজখবর শুরু করেন। ‘হিন্দু সংহতি’ নামে একটি সংগঠনের কর্মীরাও বিষয়টি নিয়ে তৎপর হন। তারপর জানা যায় যে রাজীব সরদার নামে ছেলেটি ইউসুফ গাজীর সম্পর্কে ভাগ্নে হন।রাজীব ক্যানিংয়ের বাসিন্দা।সেখানে তাদের ফলের দোকান আছে।ওই এলাকারই এক ১৬ বছরের নাবালিকাকে নিয়ে এসে মামাবাড়িতে বিয়ের তোরজোর করছিলেন।
১০নং কুমড়োখালি গ্রামের বাসিন্দা মিহির হাজারি জানান,” সঠিক তথ্য সামনেই আসতেই আমরা কয়েকজন মিলে ওই বাড়িতে হাজির হই । তারপর নাবালিকাকে উদ্ধার করে আনা হয়।বিয়ে রোখা সম্ভব হয়েছে এবং পুলিশকে সমগ্র বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
জানা যায় এনিয়ে শোরগোল হতেই কিছুক্ষনের মধ্যে বাসন্তী এবং ক্যানিং থানার পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। স্থানীয়রাই রাজীব সরদারকে খুঁজে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেন। নাবালিকাকে পুলিশের হেফাজতে তুলে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় তার পরিবারের কাছে। মিহিরবাবুর দাবি,’মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা গিয়েছে ওই যুবক তার সঠিক পরিচয় গোপন রেখেই মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে আসে। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখুক ।’।