এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,৩০ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশে (Bangladesh) একের পর এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ,ধর্ষণ করে খুন এবং প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করার পর বেশ্যাবৃত্তি করার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল । সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের নবীগঞ্জ(Nabiganj) উপজেলার (উপজেলা) সুলতানপুর(Sultanpur) গ্রামের এক ১১ বছরের কিশোরীকে গনধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ উঠেছে । গত ২৭ সেপ্টেম্বর মাঠ থেকে উদ্ধার হয় পপি সরকার নামে ওই কিশোরীর মৃতদেহ । পরে পোস্টমর্টেমে জানা যায় তাকে গনধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। নিহত মেয়েটির বাবা দিগিন্দ্র সরকার একই গ্রামের বাসিন্দা সুরমান আলী (Surman Ali)সহ তিনজনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন । অভিযোগের ভিত্তিতে সুরমান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নবীগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ । তবে বাকি দুই অভিযুক্তের সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ ।
পাশাপাশি বাংলাদেশের সিলেটের সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার(Dowarabazar) উপজেলায় পূর্ব নৈনগাঁও গ্রামের এক অষ্টম শ্রেণির হিন্দু ছাত্রীকে (১৪) তার বাবা মায়ের সামনে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে মোহম্মদ আশকর আলী নামে এক অটো রিকশাচালকের বিরুদ্ধে । গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত্রি প্রায় ১১ টার সময় বাড়িতে ঢুকে বাবা-মায়ের সামনে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় আশকর আলী । এরপর ভয়ে দু’দিন মুখ না খুললেও ২৩ সেপ্টেম্বর দোয়ারাবাজার থানায় আশকর আলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রজু করেন ছাত্রীর বাবা । মেয়েটি মহিবুর রহমান মানিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী । তার বাবা পেশায় খেতমজুর । অভিযোগ, স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই মেয়েটিকে উত্যক্ত করত আশকর আলী । সে প্রেমের প্রস্তাব দিত মেয়েটিকে । কিন্তু মেয়েটি সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ঘটনার দিন রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে চড়াও হয় আশকর । তারপর তারা বাবা-মায়ের সামনেই মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় ।
এই দুই ঘটনা ছাড়াও লাভ জিহাদের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের এক হিন্দু তরুনী । জানা গেছে,প্রীতি (Priti) নামে ওই তরুনীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিল একই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফাহাদ (Mohammed Fahad) নামে এক যুবক । মেয়েটি ফাহাদের প্রেমে এতটাই পাগল হয়ে গিয়েছিল যে বাবা-মায়ের বারাংবার নিষেধ উপেক্ষা করেই তাকে বিয়ে করেছিল । তাদের একটি কন্যাসন্তানের জন্মও হয় । কিন্তু তারপর থেকে ফাহাদ তার স্ত্রীকে বন্ধুদের সাথে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ । প্রীতি এর প্রতিবাদ করলে স্বামীর হাতেই তাঁকে খুন হতে হয় । ইসকনের সহ সভাপতি ও মুখপাত্র রাধারমন দাস তাঁর টুইটারে অ্যাকাউন্টে স্বামী,সন্তানের সঙ্গে প্রীতির ছবি শেয়ার করে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন ।।