এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৮ সেপ্টেম্বর : পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এবং পিএফআইয়ের সহযোগী সংগঠনগুলির উপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত সংগঠনগুলির তালিকায় রয়েছে ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, উইমেনস ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, রিহ্যাব ফাউন্ডেশন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে যে পিএফআই সমাজের বিভিন্ন বিভাগ, যুবক, ছাত্র এবং আর্থিকভাবে দুর্বল অংশগুলিকে টার্গেট করার জন্য সহযোগী সংস্থাগুলি স্থাপন করেছে । এর একমাত্র উদ্দেশ্য প্রভাব বিস্তার এবং তহবিল সংগ্রহ করা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইএসআইএস এর মতো বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সাথে পিএফআই-এর যোগসুত্র পাওয়া গেছে । এর সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলো দেশে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি সৃষ্টি করে মৌলবাদ বাড়াতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । পিএফআই-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে অনেকেই নিষিদ্ধ সংগঠন সিমির সদস্যও ছিলেন বলে জানিয়েছে সরকার ।
সরকার বলেছে যে এই সংগঠনটি সন্ত্রাসের মামলায় জড়িত এবং দেশের সাংবিধানিক কর্তৃত্বকে অসম্মান করে এবং বাইরের উৎস থেকে তহবিল পেয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষতি করার জন্য কাজ করছে। এর পাশাপাশি এটাও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে পিএফআই সহিংস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত । কলেজের অধ্যাপকের হাত কেটে ফেলা, অন্য ধর্মের অনুসারী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নৃশংসভাবে হত্যা, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও স্থানকে নিশানা করার জন্য বিস্ফোরক সংগ্রহ এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করার প্রমাণ পাওয়া গেছে । পিএফআই তামিলনাড়ুর কেভি রামালিঙ্গম, কেরালার নান্দু, কর্ণাটকের আর রুদ্রেশ, প্রবীণ পূজারি, তামিলনাড়ুর শশী কুমার এবং প্রবীণ নেতারুর হত্যার সাথে জড়িত ।
এর বাইরে সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতেও যোগ দিয়েছে পিএফআই-এর সদস্যরা। সেখান থেকে তারা হাওয়ালা এবং অনুদানের মাধ্যমে ভারতে সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে তহবিল সংগ্রহ করছে ।।