এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,২৭ সেপ্টেম্বর : আফগানিস্থানে সর্বস্তরের মহিলাদের উপর রকমারি আইন প্রণয়ন করেছে তালিবান সরকার । তার মধ্যে গোটা শরীর ঢাকা বোরখা না পরে বাইরে বের হওয়া আইনত অপরাধ ঘোষণা করা হয়েছে । মেয়েদের একলা কোথাও ভ্রমনের উপরে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা । এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণীর উর্ধে মেয়েদের জন্য স্কুলের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । আফগানি মেয়েদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়ায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে । মেয়েদের অবিলম্বে স্কুলে ফেরাতে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ । কিন্তু কে শোনে কার কথা । আফগানি মেয়েদের স্কুলে না ফেরানোর যুক্তি হিসাবে তালিবানের ধর্ম প্রচার মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোহাম্মদ খালিদ হানাফি (Mohammad Khalid Hanafi) জানিয়েছেন, বিধর্মী বিজ্ঞান শেখানো হারাম । তিনি বলেন, ‘বিধর্মীয় বিজ্ঞান পড়ানো বা শেখানো হারাম । মেয়েদের আমির আল-মুমিনীনের আদেশ পালন করা বাধ্যতামূলক ।’
যদিও ধর্ম প্রচার মন্ত্রীর ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন, ‘তালিবানের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক ডেপুটি শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই ( Sher Mohammad Abbas Stanekzai) । মঙ্গলবার পর্যটন দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে স্তানেকজাই বলেন,’বিজ্ঞান শেখা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য বাধ্যতামূলক । মেয়েদের শিক্ষার বিরোধীদের উচিত ইসলামিক কারণ ও ন্যায্য যুক্তি প্রদান করা ।’ স্তানেকজাই লিঙ্গ বৈষম্য ছাড়াই পুরুষ ও মহিলাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন ।
সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে তালিবান নেতাদের মধ্যে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে । তবে আদপেই এটা মত বিরোধ কিনা তা নিয়ে অভিজ্ঞ মহলের মধ্যে সংশয় রয়েছে । তাঁদের দাবি,আফগানি মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপকে প্রতিহত করতে এটা তালিবানদের একটা চালাকি ছাড়া আর কিছু নয় ।।