এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৭ সেপ্টেম্বর : সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে অর্থের জোগান দেওয়া, সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবির চালানোসহ একাধিক দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর মামলায় মুসলিম কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) বিরুদ্ধে দেশের একাধিক জায়গায় একযোগে অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ । ওই সংগঠন সংক্রান্ত বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের । এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই চরমপন্থী গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে । সংগঠনটি যাতে আইনের ফাঁক ফোঁকর গলে পালাতে না পারে সেই কারনে আঁটঘাঁট বেঁধে আসরে নামতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ।
গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২২) পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ১৫ টি রাজ্যে এক যোগে অভিযান চালিয়েছিল ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) । সঙ্গে ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি) ও স্থানীয় পুলিশের তদন্তকারী দল । পিএফআই কর্মীদের বাড়ি, দোকানে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার জোরালো প্রমাণ হাতে পায় সংস্থাগুলো । সংগঠনের নানা কাগজপত্র থেকে জানা যায়,গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল পিএফআই । সেই সঙ্গে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যেও এগোচ্ছিল তারা । সেজন্য গড়ে তুলছিল প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসবাদী বাহিনী ।
অভিযানের পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং এনআইএ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন । বৈঠকে পিএফআই সংক্রান্ত সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । সুত্রের খবর, নিষেধাজ্ঞা জারির আগে আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক । এটি করা হচ্ছে কারণ ২০০৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন সিমির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হয়েছিল । যদিও পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরে নিষেধাজ্ঞা ফের বহাল হয় । এবার সরকার আর তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না । তাই এই কট্টরপন্থী সংগঠনটিকে ইউএপিএ (UAPA) আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আগে রীতিমতো কোমড় বেঁধে আসরে নামতে চলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ।।