এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোটা(রাজস্থান),২৬ সেপ্টেম্বর : রাজস্থানের কোটায় আদিবাসী কিশোরীকে অপহরণের পর ৪ দিন ধরে আটকে রেখে পালা করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৬ জনের বিরুদ্ধে । অভিযুক্তদের অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে । এমনকি কিশোরী কোটা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে এলে এএসআই রওনক আলী তাকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ । যদিও বিষয়টি চাওড় হতেই এএসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে । ঘটনার তদন্তে এসআইটি গঠন করা হয়েছে । তবে সোমবার পর্যন্ত কোনো গ্রেফতারির খবর নেই ।
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রামগঞ্জমন্ডি থানা এলাকায় বাড়ি নির্যাতিতা কিশোরীর । সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী । গত ১৪ সেপ্টেম্বর সে ট্রেনে কোটায় গিয়েছিল । সেখানে তার এক তার সিনিয়র বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয় । ওই যুবক তাকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি ঘরে আটকে রাখে । সেখানে যুবক প্রথমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে । তারপর যুবকসহ ৬ জন মিলে চারদিন ধরে পালা করে তার উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় । তারপর ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তরা মেয়েটিকে একটি পার্কের সামনে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ।
খবর পেয়ে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন কোটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । এই ধর্ষণের মামলায় তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক রওনক আলী । তিনি ১৯ তারিখে মেয়েটিকে কোটার ‘শিশু কল্যাণ কমিটির’ কাছে নিয়ে যান । পরে ২৩ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে কাউন্সেলিং করার পর তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় । কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে রওনক আলী মেয়েটিকে গালিগালাজের পাশাপাশি শ্লীলতাহানিও করেন বলে অভিযোগ । নির্যাতিতার পরিবারের আরও অভিযোগ, অপরাধীদের বাঁচাতে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিক ৷ যদিও বিতর্কের সৃষ্টি হতেই তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় । এদিকে নির্যাতিতার চিকিৎসার পর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় তার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় । দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বজরং দল ।।