দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৬ সেপ্টেম্বর : প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিশোরীর । কিন্তু পাশাপাশি বাড়িতে মেয়ের বিয়ে দেবার ইচ্ছা ছিল না কিশোরীর পরিবারের । সেই কারনে তাঁরা মেয়ে সাবালিকা হলেই অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন । এমনকি বিয়ের প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছিল । সেই আক্রোশে কিশোরীর ঠাকুমাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল মেয়েটির প্রেমিকের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে ৷ রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার নবস্থা গ্রামে । পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম রসাই খাঁ (৫৫) । নিহতের ছেলে রতন খাঁ এনিয়ে প্রতিবেশী যুবকের মা জুমাতন, দুই মাসি রেজিনা বিবি ও ফুলমণি বিবি, মামি সুরিফ বিবি এবং দিদিমা হাসিবা বিবির বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় খুনের অভিযোগে এফআইআর রজু করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে জুমাতন বিবি ও রেজিনা বিবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । সোমবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে
জুমাতন বিবিকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় ।
জানা গেছে,অভিযোগকারী নবস্থা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা রতন খাঁয়ের ভাইঝি ওই কিশোরী । মেয়েটির বর্তমান বয়স ১৭ বছর ৫ মাস । মেয়েটির সঙ্গে জুমাতন বিবির ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল । কয়েকমাস আগে নাবালিকা ওই যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিল সে । পরে পরিবারের লোকজন কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়ি ফিরিয়ে আনে । তারপর থেকেই মেয়েটির পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় সাবালিকা হতেই তার অন্যত্র বিয়ে দেবে । রবিবার বাড়িতে নবসমন্ধ এসেছিল । কিশোরীর প্রেমিকের পরিবারের মহিলারা বাড়িতে চড়াও হয়ে নবসমন্ধের সামনেই একপ্রস্থ গালিগালাজ করে চলে চলে যায় । যাবার আগে জুমাতন বিবির ছেলের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দিতে হবে বলে তারা শাসিয়ে যায় বলে অভিযোগ । এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসাও হয় । রতন খাঁর অভিযোগ, ‘সন্ধ্যার দিকে নবসমন্ধের লোকজন বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল । আমার মা তাঁদের এগিয়ে দিতে গিয়েছিলেন । ফিরে আসার পথে লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই ৫ মহিলা আমার মায়ের উপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে পালিয়ে যায় ।’
জানা গেছে,প্রতিবেশীদের সহায়তায় গুরুতর জখন রসাই খাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন । কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পরে এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । সোমবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় ।।