এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেহেরান,২৬ সেপ্টেম্বর : মাহাসা আমিনির (Mahsa Amini) হত্যাকাণ্ডের পর ইরানে হিজাব বিরোধী জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন ২০ বছর বয়সী তরুণী হাদিস নাজাফি (Hadis Najafi) । তেহরানের কাছে কারাজ শহরে একটি বিক্ষোভের সময় চুল খুলে রেখে তিনি পুলিশের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন । ধূসর চুলের হাদিসের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । ভিডিওতে দেখা গেছে বিক্ষোভের সময় হিজাব ছাড়াই তিনি সেখানে উপস্থিত হয়েছেন । তারপর রাবার ব্যান্ড দিয়ে নিজের চুল বেঁধে পুলিশের সামনে এগিয়ে যান নাজাফি । আর এই অপরাধের শাস্তি স্বরূপ হাদিস নাজাফিকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ইরানের পুলিশ । মুখ,ঘাড়ে, বুক,হাত মিলে মোট ৬ টি বুলেট বিদ্ধ হন ওই তরুনী । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর ।
উল্লেখ্য,ইরানে ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মহিলাদের জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক । এই কারণে ইরানের পুলিশ সেখানে মহিলাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে । আর হিজাব না পরার অপরাধে দিন কয়েক আগে মাহাসা আমিনীকে পিটিয়ে মারে ইরানের পুলিশ । এরপর ইরান জুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে । আমিনীর মৃত্যুর পর থেকে ইরানের রাস্তায় বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ করছে । এতে মহিলাদের সংখ্যাই সব চেয়ে বেশি । এদিকে বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করেছে । অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, শুধু ২১ সেপ্টেম্বর রাতে তিন শিশুসহ ২১ জন নিহত হয়েছে পুলিশের গুলিতে । ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি অনুসারে এযাবৎ বিক্ষোভে মোট ৪১ জন মারা গেছে । যার ফলে বিশ্ব জুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ইরান । ইরানের পুলিশকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আমেরিকা । এদিকে দেশের অভ্যন্তরে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অত্যাচারের ভিডিও যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আর ফাঁস না হতে পারে তার জন্য দেশ জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।।