এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেরেলি(উত্তরপ্রদেশ),২৪ সেপ্টেম্বর : দীর্ঘ ৯ বছরের সংসার । তিনটি সন্তানও রয়েছে । কিন্তু দিন সাতেক আগে স্বামী তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় । নিরুপায় হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ওই মহিলা । কিন্তু স্বামীর হিন্দু বন্ধু বোঝানোর পর আত্মহননের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন । শেষে স্বামীর হিন্দু বন্ধুকেই জীবন সঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়ে নতুন সংসার পাতলেন রুবিনা খান (Rubina Khan) নামে ওই মহিলা । স্থানীয় একটি মন্দিরে গিয়ে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে প্রেম কুমারের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন রুবিনা । অবশ্য তার আগে তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করেন । নতুন নাম রাখেন পুষ্পা দেবী । উত্তরপ্রদেশের বেরেলির ঘটনা । পেশায় ট্রাক চালক প্রেম কুমার বলেছেন, তিনি পুষ্পাকে সবসময় খুশি রাখবেন ।
জানা গেছে,উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায় মামার বাড়িতে মানুষ রুবিনা খান । বছর নয়েক আগে উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানির বাসিন্দা শোয়েবের সঙ্গে তাঁর দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল । তাঁদের ৩ সন্তানও রয়েছে । কিন্তু শোয়েব সর্বদা তাঁর স্ত্রী রুবিনাকে সন্দেহ করত বলে অভিযোগ । রুবিনা জানান,তাঁর স্বামী তার জীবনকে নরক বানিয়ে দিয়েছিল । রোজ রোজ মদ্যপান করে এসে তাঁকে মারধর করত । এক সপ্তাহ আগে তিনবার তালাক তালাক তালাক বলে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় । এরপর তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন । কিন্তু তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ফিরিয়ে আনেন প্রেম কুমার । শেষে প্রেমকেই তিনি জীবন সঙ্গী হিসাবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ।
জানা গেছে,বেরেলির সুভাষ নগর থানা এলাকার মধ্যনাথে অবস্থিত অগস্ত্য মুনি আশ্রমে গিয়ে ধর্মান্তরিত হন রুবিনা । সেখানে পুষ্পা দেবী নাম নিয়ে প্রেম কুমারের গলায় বরমালা পড়িয়ে দেন তিনি । পুষ্পা-প্রেমের বিয়ে দেওয়া পুরোহিত পণ্ডিত কে কে শঙ্খধর জানিয়েছেন,ওই দু’জন তাঁর কাছে এসে বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল । সেই কারনে বৈদিক মতে তিনি তাঁদের বিয়ে দিয়েছেন । এদিকে রুবিনা জানিয়েছেন, বিয়ের কথা কানে যেতেই শোয়েব তাঁদের প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে । ফলে নিজের ও স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে তিনি এখন খুব চিন্তায় আছেন ।।
তথ্যসূত্র ও ছবি : সৌজন্যে টাইমস ১৮ ।