এইদিন ওয়েবডেস্ক,কানপুর,২৫ সেপ্টেম্বর : জীবিত ভেবে দেড় বছর ধরে এক আয়কর বিভাগের আধিকারিকের মৃতদেহ আগলে রেখেছিল তাঁর পরিবার । মেডিক্যাল টিম যখন তদন্তে যায় তখন মৃতের স্ত্রী দাবি করেন তাঁর স্বামী জীবিত আছেন । বর্তমানে কোমায় আছেন তিনি । প্রতিদিন গঙ্গাজল ঢেলে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে তাঁর স্বামীকে । চমকপ্রদ এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে । এদিকে তদন্তকারী দল পরীক্ষা করে দেখেন দেহের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে । শরীরে পচন ধরে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে । মৃতের কঙ্কালের সাথে জড়িয়ে আছে চামড়া । এভাবে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে মৃতদেহ আগলে রাখার ঘটনা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেছেন প্রতিবেশীরা । স্থানীয়রা জানান,ঘটনার কথা তাঁরা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি ।
জানা গেছে,মৃত ব্যক্তির নাম বিমলেশ কুমার । রাওয়াতপুর থানার অন্তর্গত কৃষ্ণপুরির বাসিন্দা বিমলেশবাবু আহমেদাবাদের আয়কর বিভাগে এও পদে কর্মরত ছিলেন । করোনা মহামারির সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি । গত বছর ১৯ এপ্রিল তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিল পরিবার । কিন্তু ভর্তির দ্বিতীয় দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় । হাসপাতাল বিমলেশ কুমারের ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেয় ।
জানা গেছে,বিমলেশ কুমারের মৃতদেহ নিয়ে প্রথমে বাড়িতে আসেন পরিবারের সদস্যরা । মৃতদেহের শেষকৃত্যের জন্য যখন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল, তখন মৃতের স্ত্রী মিতালিদেবী দাবি করেন,তাঁর স্বামীর শরীরে প্রাণ আছে, তিনি কোমায় আছেন । এরপর মৃতদেহ দাহ না করে ঘরেই রেখে দেওয়া হয়। মৃতের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে বিমলেশ বেঁচে আছেন । তাঁদের বিশ্বাস ছিল বিমলেশবাবুর শরীরে প্রতিদিন গঙ্গাজল ঢালার কারনে তিনি জীবিত আছেন । এক সময় তিনি জেগে উঠবেন ।
জানা গেছে,এদিকে মৃতের পরিবারের এই দাবির কারনে আয়কর বিভাগও চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা করতে পারচ্ছিল না । শেষে ঘটনার তদন্তের জন্য কানপুরের ডিএমকে একটি চিঠি লিখে আবেদন জানায় আয়কর দপ্তর ৷ এরপর কানপুরের ডিএম সিএমও অলোক রঞ্জনকে চিঠি লিখে তদন্তের নির্দেশ দেন । শেষে শুক্রবার বিমলেশ কুমারের বাড়িতে যায় মেডিকেল টিম । পরে দেহের অন্তেষ্টিক্রিয়া করা হয় ।।