এইদিন ওয়েবডেস্ক,১৯ সেপ্টেম্বর : ‘মাদ্রাসা এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া উচিত । মাদ্রাসার সব ছাত্রকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠাতে হবে, যাতে তাদের মন থেকে ‘কুরআন নামক ভাইরাস’ দূর করা যায়’- এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর ইয়েতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী । রবিবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের একটি অনুষ্ঠানে এহেন মন্তব্যের পরে ব্যাপক শোড়গোল পড়ে যায় । মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী নরসিমানন্দের বিরুদ্ধে স্থানীয় গান্ধী পার্ক থানায় আইপিসি ১৮৮/ ২৯৫ এ/ ২৯৮/ ৫০৫(২)/ ৫০৬ প্রভৃতি ধারায় মামলা রজু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি সিটি কুলদীপ সিং গুণওয়াত ।
জানা গেছে,আলিগড় জেলায় আয়োজিত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন ইয়েতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী। রবিবার ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান । সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন,’চীনের মতো সব মাদ্রাসাকে বারুদ দিয়ে উড়িয়ে দিতে হবে এবং মাদ্রাসার সব ছাত্রকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠাতে হবে, যাতে তাদের মন থেকে ‘কুরআন নামক ভাইরাস’ দূর করা যায়।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) ইসলামের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি। এখানে ভারত ভাগের ভিত্তি রচিত হয়েছিল। মাদ্রাসার মতো এএমইউকেও উড়িয়ে দেওয়া উচিত। এর ছাত্রদের ডিটেনশন সেন্টারে চিকিৎসা করা উচিত যাতে তাদের মস্তিষ্কের চিকিৎসা হয় ।’
সেই সঙ্গে তিনি বলেন,’জ্ঞানবাপী মসজিদ নয়, মন্দির। হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে এবং খুব শীঘ্রই হিন্দুরা জ্ঞানবাপীর দখল পেয়ে যাবে ।’ তাঁর কথায়, ‘এবার ‘মক্কেশ্বর মহাদেব’ নিয়ে হিন্দুদের উদ্যোগী হওয়া উচিত,যাতে ওটাও আমাদের দখলে আসে ।’এমনকি বিশ্বের যেখানেই মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মান করা হয়েছে তা সব ফিরিয়ে আনা উচিত বলেও তিনি মত প্রকাশ ।
সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’কে ‘তামাশা’ বলে অবিহিত করেন জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর ইয়েতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’রাহুল গান্ধী যদি ভারতকে একত্রিত করতে চান, তাহলে তার উচিত পাকিস্তান ও বাংলাদেশে যাওয়া, যা মহাত্মা গান্ধী তৈরি করেছিলেন। প্রথমে পাকিস্তান, বাংলাদেশকে ভারতের সাথে সংযুক্ত করুন । তবেই অনান্যরা তার সাথে যোগ দেবে ।’রাহুল গান্ধী জিহাদিদের সঙ্গে আছেন বলেও তিনি কটাক্ষ করেন ।।