এইদিন ওয়েবডেস্ক,গাড়োয়া,১৯ সেপ্টেম্বর : ফের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ঝাড়খণ্ডে । এবারে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রায় তিন দিন ধরে একটি ঘরে আটকে রেখে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশী মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে গাড়োয়া জেলার (Garhwa District) বারদিহা এলাকার । এমনকি ঘটনার কথা কোথাও প্রকাশ করলে মেয়েটিকে ও তার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । শেষে রবিবার নির্যাতিতার বক্তব্যের বিরুদ্ধে ইরশাদ খানের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রজু করেছে । পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্তের সন্ধান চলছে ৷
নির্যাতিতা কিশোরী পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছে,গত ৬ সেপ্টেম্বর সে যখন ফাঁকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় ইরশাদ ও তার এক সহযোগী বাইকে চড়ে সেখানে আসে । তার মুখে এক টুকরো কাপড় চেপে ধরে । একটা গন্ধ তার নাকে লাগতেই সে অজ্ঞান হয়ে যায় । জ্ঞান ফিরলে সে দেখে একটা ঘরের মধ্যে তাকে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে । এরপর ইরশাদ বন্দুক দেখিয়ে তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। প্রতিবাদ করলে মারধরও করে ।
কিশোরী জানিয়েছে,দু’দিন ওই ঘরে আটকে রাখার পর গত ৯ তারিখে ইরশাদ জানায় তার মায়ের সাথে কথা হয়েছে,তার সঙ্গীসাথীরা তাকে নামিয়ে দিয়ে আসবে । সেই সঙ্গে সে সতর্ক করে দেয় ঘটনার কথা কাউকে বললে তাকে ও তার মাকে প্রাণে মেরে ফেলবে । এরপর ইরশাদের লোকজন তাকে একটি লাল গাড়িতে করে বাকইয়া-মাঝিয়ান সীমান্তে নামিয়ে দেয় । ওই ব্যক্তিদের কাছেও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছে নির্যাতিতা কিশোরী।
জানা গেছে,কিশোরীকে পৌঁছে দেওয়ার আগেই তার মা’কে ফোন করে সেখানে অপেক্ষা করতে বলেছিল । ইরশাদের লোকজন মেয়েকে নামিয়ে দিয়ে গেলে তাকে বাপের বাড়ি নিয়ে যান ওই মহিলা । কিন্তু দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধর্ষকের হুমকির ভয়ে মা ও মেয়ে দু’জনেই ভয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি । শেষে পরিবারের বাকি লোকজন সাহস দিলে রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ।।