এইদিন ওয়েবডেস্ক,কিয়েভ,১৯ সেপ্টেম্বর : জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে সেনাদের দেশে ফেরাল ইউক্রেন । ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো থেকে ২৫০ সেনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে খবর । গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করলে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেওয়া ইউক্রেনের সেনাদের একে একে দেশে ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছিল ভলোদিমির জেলেনেস্কি । এদিকে ইউক্রেনের সেনা প্রত্যাহারের জন্য সংকটের মুখে পড়ে গিয়েছে কঙ্গোর মিশন । কারন কঙ্গোয় জাতিসংঘের মিশনে ব্যবহৃত ২৪টি হেলিকপ্টারের ৮ টিই ইউক্রেনের ।
ইউক্রেনীয় সেনাদের শেষ দলটি দেশে ফিরে আসার সময় কঙ্গোতে দায়িত্ব প্রাপ্ত শান্তিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল মার্কোস ডি কস্টা তাদের প্রশংসা করে জানান,গত ১০ বছর ধরে ইউক্রেনের শান্তিরক্ষীরা দারুণ অবদান রেখেছেন । ইউক্রেনের অ্যাভিয়েশন ইউনিটের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় তাঁর গলায় । ডিআর কঙ্গোর সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত কমান্ডার জ্যাক এনডজোলি বলেন,’এই মিশন থেকে ইউক্রেনের সেনা প্রত্যাহারে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হবে । তবে এবার দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কঙ্গো সেনাবাহিনীকেই দায়িত্ব নিতে হবে ।’
উল্লেখ্য,ডি আর কঙ্গোতে অসংখ্য সশস্ত্র গোষ্ঠী বিগত তিন দশক ধরে সক্রিয় রয়েছে । নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের পাশাপাশি সোনা ও হীরার মতো সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদ লুট করেছে তারা । এছাড়া গত জুলাইয়ে দেশের পূর্বাঞ্চলে বিক্ষোভকারীরা জাতিসংঘের ভবনগুলো ভাংচুর করার সময় চার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীসহ ৩৬ জন নিহত হন। তার মধ্যে দু’জন ভারতীয় সেনাও ছিল । এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল ইউক্রেনের অ্যাভিয়েশন ইউনিট ।
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের গভীর বনাঞ্চলে বিদ্রোহীদের দমনে এই ইউনিট ব্যাপক অবদান রেখেছিল ।
জাতিসংঘের যে ১২টি শান্তিরক্ষা মিশন রয়েছে, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল । তাই দীর্ঘ দুই দশকের অধিক সময় ধরে চলা এই মিশনটি এবার বন্ধ করে দেওয়ার কথা উঠেছে । কিন্তু এই মিশন বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে অফিসিয়ালি কিছু ঘোষণা করেনি জাতিসংঘ ।।