শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৫ সেপ্টেম্বর : প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালেও গিয়েছিলেন গৃহস্থ বাড়ির কাজে । হঠাৎ টিকিট কাটার মন হয় । তাই কাজের ফাঁকেই গিয়েছিলেন লটারির দোকানে৷ কেটেছিলেন ৩০ টাকা দিয়ে ৬ সেমের একটি টিকিট ৷ আর তাতেই জীবন বদলে গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বাসুদা গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডলের । তিনি যে টিকিটটি কেটেছিলেন সেই টিকিটেই পড়েছে প্রথম পুরষ্কারের ১ কোটি টাকা । পূজোর মুখেই লটারিতে ১ কোটি পুরষ্কার জিতে আনন্দে আত্মহারা পেশায় নির্মান শ্রমিক প্রসেনজিৎ ও তার পরিবারের লোকজন ।
বাসুদা গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডলরা দু’ভাই । দু’জনেই বিবাহিত । বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে তাঁদের যৌথ পরিবার । হতদরিদ্র সংসার । বাবা অজয় মণ্ডল জনমজুর। মা শুভাদেবী পরিচারিকার কাজের পাশাপাশি জনমজুরি করেন । দাদাও পেশায় জনমজুর । প্রসেনজিৎ নির্মান শ্রমিকের কাজ করেন । প্রসেনজিৎ বলেন,’প্রতি দিন লটারির টিকিট কাটার মত অত টাকা নেই । তবে মাঝে মধ্যে ভাগ্য পরীক্ষা করি । কিন্তু কোনো দিন লটারিতে টাকা পাইনি । এদিন সকালে রাজিপুর গ্রামে কাজে গিয়ে মনে হচ্ছিল যদি লটারিতে কিছু টাকা পড়তো তাহলে এবারের পূজোয় সকলকে নতুন পোশাক কিনে দিতে পারতাম । তাই টিকিট কাটার জন্য টিফিনের সময় সাইকেল নিয়ে ভাতার বাজারের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ি । তারপর ভাতার বাজারে কৃষিমাণ্ডির একটা লটাটির দোকানে গিয়ে ৩০ টাকা দিয়ে ৬ সেমের একটা টিকিট কেটেছিলাম । দুপুরে কাজ করতে করতেই এক ফাঁকে গিয়ে টিকিট মেলাতে যাই। তখন দেখি আমার টিকিটে এক কোটি টাকা পড়েছে । সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি চলে আসি ।’
প্রসেনজিতের মা শুভাদেবী বলেন,’সারা জীবন আমাদের কষ্টে কেটেছে । পরের বাড়িতে কাজ করে, মাঠে কাজ করে ছেলেদের বড় করেছি । নাতিপুতি রয়েছে। ওদেরও ভবিষ্যৎ আছে। ওই টাকায় এছাড়া কিছু জমি জায়গা কেনা হবে। আর একটা বাড়ি করা হবে ।’।