এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০৯ সেপ্টেম্বর : ভারত সফরের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন তাঁরা যেন নিজেদের দূর্বল না ভাবেন । রাষ্ট্র তাঁদের পাশে আছে । কিন্তু তাঁর এই আশ্বাস যে নিছক কথার কথা এবং শাসনযন্ত্র যে সংখ্যাগুরু মুসলিমদের অঙ্গুলিহেলনে চলে তা ফের একবার প্রমাণ পেল বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ফের এক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করল বাংলাদেশের পুলিশ । ধৃত প্রীতম দাস নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রজু করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,প্রীতম দাসের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল পুরসভা এলাকায় । তিনি রাষ্ট্র সংস্কার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্যও । এদিন শুক্রবার সকালের দিকে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন । যার জেরে শ্রীমঙ্গলে রীতিমতো বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে কট্টরপন্থীরা । শেষে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে এলাকা থেকে প্রীতম দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ । শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হারুন উর রশীদ তালুকদার বলেন,’প্রীতম দাস ধর্মীয় উসকানিমূলক মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে । এ মামলার ভিত্তিতে তাঁকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ।’
কিন্তু একজন হিন্দুর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগকে ঘিরে বাংলাদেশের পুলিশ যতটা সক্রিয়তা দেখায় ততটা সংখ্যাগুরু মুসলিমদের ক্ষেত্রে কেন দেখানো হয় না? এই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন । তাঁদের অভিযোগ,দুর্গোৎসব আসতেই জিহাদিরা ফের বাংলাদেশের জায়গায় জায়গায় অসম্পূর্ণ দূর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর চালাতে শুরু করে দিয়েছে । কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই অপরাধীরা ধরা পড়েনি বা অপরাধীদের ধরার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না পুলিশ । তাঁদের প্রশ্ন, মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা কি ধর্ম অবমাননা নয় ? বাংলাদেশের পুলিশ ও প্রশাসনের এই দ্বিচারিতায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে ।।