এইদিন ওয়েবডেস্ক,দুমকা,০৩ সেপ্টেম্বর : কথা না বলায় ঝাড়খণ্ডের দুমকার হিন্দু কিশোরী অঙ্কিতা সিংকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল শাহরুখ হোসেন ও নাঈম খান ওরফে ছোটু । দুই খুনি যুবক বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে । গোটা দেশ তাদের ফাঁসির দাবিতে সরব হচ্ছে । এদিকে এই নৃসংশ হত্যাকাণ্ডের মামলায় দুমকার ডিএসপি নূর মোস্তফার বিরুদ্ধে আসামীদের বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠছে । ঝাড়খণ্ড চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি বলেছে, যখন অঙ্কিতাকে খুন করা হয়েছিল তখন সে নাবালিকা ছিল । মৃতের মাধ্যমিকের মার্কশিটে জন্ম তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০০৬ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সব কিছু জেনেও এফআইআরে তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়েছেন । এমনকি অঙ্কিতা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে তার বয়স ১৭ বছর বলে উল্লেখ করেছিল । কিন্তু এফআইআরে সেটা বাড়িয়ে ১৯ বছর করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ।
অভিযোগ, অঙ্কিতাকে প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে আদপে শাহরুখ হোসেন ও নাঈম খানকে বাঁচানোর চেষ্টায় ছিল পুলিশ । আর এর পিছনে হাত ছিল ডিএসপি নূর মোস্তফার । যদিও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও বিজেপি বিষয়টি বুঝতে পেরে নূর মোস্তফার অপসারনের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় । আর এরপরেই অঙ্কিতা হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্ত থেকে ডিএসপি নূর মুস্তফাকে সরিয়ে দেওয়া হয় ।
শুধু অঙ্কিতা সিংয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাতেই নয়,ইতিপূর্বেও ডিএসপি নূর মোস্তফার বিরুদ্ধে হিন্দু বিদ্বেষী মানসিকতার অভিযোগ উঠেছে । ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি নূর মোস্তফাকে সাম্প্রদায়িক ও আদিবাসী বিদ্বেষী বলে দাবি করে বেশ কিছু নথিও শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় । বাবুলাল মারান্ডি জানান, জুলফিকার ছিল আদিবাসীদের শোষক । তার বিরুদ্ধে এসটি আইনের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং তিনি জেলে গিয়েছিলেন । কিন্তু ডিএসপি নূর মুস্তফা ৯০ দিনের পরেও আদালতে চার্জশিট জমা দিতে দেননি । আর যে কারনে জামিন পেয়ে যায় জুলফিকার । এদিকে জুলফিকার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরপরই ডিএসপি নূর মোস্তফা চার্জশিট দাখিল করেন ।।