দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০১ সেপ্টেম্বর : ফের বেআইনিভাবে গরু পাচারের সময় পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরে ফেললো পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । বুধবার রাতে ১১ জন মিলে দুটি গাড়িতে ২১ টি গরু বোজাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের নজরে পড়ে যায় । পুলিশ গাড়ি দুটি আটকে কাগজপত্র দেখতে চায় । কিন্তু তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি । এরপর ওই ১১ জন গরু পাচারকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে । গরুগুলি উদ্ধারের পাশাপাশি আটক করা হয় দুটি গাড়ি । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সফিকুল আলম, জেরু শেখ, মেরু শেখ, জেহুর শেখ,তাপস হাজরা,বজলুল শেখ, লালন শেখ, মইনুদ্দিন শেখ ওরফে ধানু শেখ, মোসেদ শেখ ওরফে বজু, মুকুল শেখ এবং নুর হক শেখ । ধৃতদের মধ্যে প্রথম ৫ জনের বাড়ি কেতুগ্রাম থানা এলাকায় । বাকি ৬ জন মঙ্গলকোট এলাকার বাসিন্দা । বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে পাঠানো হয় ।
প্রসঙ্গত,গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে গরু পাচারকারীরা সাধারণত যে দুটি করিডর দিয়ে গরু পাচার করে তার মধ্যে একটি হল বীরভূম থেকে মূর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশ । অন্যটি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে ভাগিরথী পেড়িয়ে নদীয়া হয়ে বাংলাদেশ । পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট থানার কৈচর ও কেতুগ্রাম থানার পাচুন্দিতে পশুর হাট থেকে গরু সংগ্রহ করে কাটোয়া-নদীয়া করিডর দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে দেয় পাচারকারীরা । বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের গরু পাচারকারীও মূলত এই করিডরটি ব্যবহার করে বলে খবর ।
কিন্তু গরু পাচার মামলায় সিবিআই সক্রিয় হওয়ার পরেই পুলিশের মধ্যে তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় । গত মাসেই ২০টি বাছুর ও ২৭ টি বলদসহ ৯ জন গরু পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । ফের বুধবার দুটি দলকে পুলিশ হাতেনাতে ধরে ফেলে । জানা গেছে,ওই দুটি দলের একটি কেতুগ্রামের কাঁদরা থেকে পাঁচুন্দির দিকে যাওয়ার সময় কোমরপুরে ধরা পড়ে । অপরটি দলটি ধরা পড়ে কাটোয়ার দিক থেকে কেতুগ্রামের পাঁচুন্দির দিকে যাওয়ার সময় কেতুগ্রাম থানার দাসপাড়ায় । গরুগুলি কোথা থেকে আনা হয়েছিল এবং কোথায় পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ।।