এইদিন ওয়েবডেস্ক, কলকাতা, ২২ জানুয়ারি: বেশকিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল।অবশেষে মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি রাজ্যের বনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তিনি ইস্তফাপত্র দিয়ে আসেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকেই সরাসরি এদিন দুপুরবেলায় তিনি চলে যান রাজভবনে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠক সেরে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন,”অনেক ক্ষোভ ও বেদনা নিয়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়লাম। আড়াই বছর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
রাজীববাবু যখন সেচমন্ত্রী ছিলেন এবং সেচ দপ্তর থেকে হঠাৎই তার দফতর বদলে দেওয়া হয়।তখনও তাকে উষ্মাপ্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল। আজ সেই পুরানো প্রসঙ্গও তুলে ধরেন রাজীব।অনেকটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,” তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবো। শুধু দলের এক কর্মী হয়ে কাজ করবো।”তবে এই চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও সৌজন্য ভোলেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি।সহকর্মীদেরও প্রতি ধন্যবাদ জানান কাজ করতে তাকে সহযোগিতা করার জন্য। রাজীব বলেন,” কারও বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগতভাবে কোনও অভিযোগ নেই।যখন যেখানে কাজ করেছি তখন মনপ্রাণে ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি।মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি।”এদিন সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজীববাবু।তিনি বলেন, ” আমি কোনওদিনও ভাবিনি এইরকম একটা কঠিন সিদ্ধান্ত আমায় নিতে হবে।যদি কখনও কাউকে আঘাত দিয়ে থাকি তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই সংযত মানসিকতার ও সজ্জন ব্যক্তি বলে পরিচিত।তিনি এদিন কোনও দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার বিন্দুমাত্র আভাস দেননি।তবুও তার পদত্যাগ ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। এবার কি গেরুয়াশিবিরে পা বাড়াতে চলেছেন রাজীব? উত্তরটা সময়ই বলে দেবে ।।