নিজস্ব প্রতিনিধি,কালনা(পূর্ব বর্ধমান),২২ জানুয়ারী : জেলায় অযোগ্য নেতৃত্বের হাতে রয়েছে বিজেপি দলটা।শুধু তাই নয় টাকার বিনিময়ে জেলায় পদও দেওয়া হচ্ছে।কোটি কোটি টাকা হাওয়ায় উড়ছে।যে যেখান থেকে পারছে ধরছে।বিজেপির যে কে প্রার্থী হবে তার কোনো ঠিক নেই।গেরুয়া শিবির ছাড়ার আগেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এইভাবেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন গত বিধানসভা নির্বাচণে বিজেপির প্রার্থী তথা শিক্ষক নেতা নিউটণ মজুমদার।তার ঠিক কিছুক্ষণ পরেই তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে জোড়া ফুলের পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির এই শিক্ষক নেতা।এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানে বিজেপি বড়োসড়ো ধাক্কা খেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকমহল।তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি বিজেপির অনেক নেতা কর্মীই তৃণমূলে যোগদান করবেন কিছুদিনের মধ্যেই। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলেই জানিয়েছেন।
বর্ধমানে বিজেপি যখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার,ঠিক তখনিই গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন গত বিধানসভা নির্বাচণে কালনা বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী নিউটণ মজুমদার।প্রভাবশালী এই নেতা যোগদানের আগেই বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক বিষ্ফোরক অভিযোগ তুলে তিনি বলেন,‘পাঁচ বছর ধরে দল আমাকে বসিয়ে রাখে।কোনো কাজেই লাগায়নি আমাকে।অযোগ্য নেতৃত্বের হাতে জেলা রয়েছে।শুধু তাই নয় টাকার বিনিময়ে জেলায় পদও দেওয়া হচ্ছে।কোটি কোটি টাকা হাওয়ায় উড়ছে।যে যেখান থেকে পারছে ধরছে।বিজেপির যে কে প্রার্থী হবে তার কোনো ঠিক নেই।’উল্লেখ্য,কয়েকদিন আগেই ঘাসফুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু।ঠিক তার কয়েকদিন পরেই বিজেপির শিক্ষক নেতা নিউটণ মজুমদারের তৃণমূলে যোগদান। শুক্রবার উলোটপুরাণের মতো এই ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকমহল।কারণ গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচণে তৃণমূলের প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুন্ডুর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন শিক্ষক নেতা নিউটণ মজুমদার।গত বিধানসভা নির্বাচণে নিউটণ মজুমদার বিজেপির পদপ্রার্থী হিসাবে নির্বাচণে হেরে গেলেও এইবারের বিধানসভা নির্বাচণে তিনিই হবেন তৃণমূলের তুরুপের তাস।সূত্রের খবর,আগামী বিধানসভা নির্বাচণে কালনা বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী হিসাবে যদি বিশ্বজিৎ কুন্ডুকে বেছে নেয় বিজেপি নেতৃত্ব।তাহলে তার বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগকে তুলে ধরেই নির্বাচণী অস্ত্রে শাণ দেবে তৃণমূল নেতৃত্ব।এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা কালনার নেতা দেবু টুডু বলেন,‘বিজেপির ধ্বংসলীলা শুরু হয়ে গেছে।আর সেই ছবিই রাজ্যজুড়ে ফুটে উঠেছে।বর্ধমানেও সেই ছবি ধরা পড়েছে।বিজেপির বাকি নেতারাও ওই শিক্ষক নেতার মতোই তৃণমূলে যোগদান করবেন।’এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন,‘কেউ যদি নিজের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য দলত্যাগ করে তাহলে আর বলার কিছু নেই।তবে দল ওনাকে কাজের সুযোগ দিয়েছিল।ওনার তোলা কোনো অভিযোগই ঠিক নয়।’।