এইদিন ওয়েবডেস্ক,জয়পুর,৩১ আগস্ট : বছর দেড় দুই আগে মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয় । আর মায়ের বিয়ের অব্যবহিত পর থেকেই ১৫ বছরের কিশোরীকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে যাচ্ছিল সৎ বাবা ও দাদা । মায়ের এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছিল ছোট্ট মেয়েটি । কিন্তু মাস তিন চারেক ধরে সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে । হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে । আর তখনই দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ও সৎ ছেলের কুকীর্তির কথা জানতে পারেন কিশোরীর মা । মানবতাকে লজ্জিত করার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে । এদিকে মেয়ের এই আত্মত্যাগ দেখে চোখের জল আটকাতে পারেননি মহিলা । তিনি মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বেশ কিছুক্ষণ হাউহাউ করে কাঁদেন । পরে পুলিশের কাছে স্বামী ও সৎ ছেলের বিরুদ্ধে করধানি থানায় এফআইআর রজু করে করেন । এদিকে এফআইআর দায়েরের খবর পেয়েই চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত বাবা ও ছেলে । পুলিশ তাদের খুঁজছে ।
জানা গেছে,ওই মহিলা সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন । প্রথম পক্ষের স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে কিশোরী মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন । বছর দেড় দুই আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি । করধানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বনোয়ারি লাল মীনা বলেন,’এলাকায় বসবাসকারী ওই সরকারি শিক্ষিকা ২০০৮ সালে প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন । মা ও মেয়ে বেশ কয়েক বছর একা থাকতেন । পরে ২০২০ সালে মা আবার বিয়ে করেন । তিনি যাকে বিয়ে করেছিলেন তার একটি ১৮ বছর বয়সী ছেলেও ছিল।’
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,মেয়েটের মা স্কুলে চলে যাওয়ার পর বাড়িতে সৎ বাবা ও দাদার কাছে থাকতো মেয়েটি । রান্নাবান্না থেকে শুরু করে গৃ্হস্থালি কাজকর্ম সারতো । এদিকে মায়ের অনুপস্থিতিতে বাবা ও দাদা মিলে তাকে ধর্ষণ করে যাচ্ছিল । মায়ের মুখ তাকিয়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে বাবা-দাদার পাশবিক নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছিল মেয়েটি । কিন্তু এই অত্যাচারের কারনে ৩-৪ মাস ধরে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে । মাঝে মধ্যে বদ্ধ উন্মাদের মত আচরণ করতে শুরু করে মেয়েটি । শেষে তাকে একটি বড় হাসপাতালে ভর্তি করেন তার মা । বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা কিশোরী ।
পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্ত বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পকসো আইনসহ ৮ টি ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে । অভিযুক্তরা পলাতক । তাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে ।।