প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৯ আগষ্ট : দোর গোড়ায় শারদোৎসব । তার প্রাক্কালে সোমবার বিপিএল তালিকা ভুক্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ও মেমারি থানা এলাকার দুস্থরা পেলেন প্যাকেট ভর্তি নানা খাদ্যসামগ্রী। জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন ,মহকুমা পুলিশ অধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জে সি আই এর সভাপতি জগন্নাথ দাস এদিন সন্ধ্যায় সুস্থদের হাতে ওইসব খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন । মূলত কোভিড অতিমারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে দুঃস্থ মানুষজনের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।শারদোৎসবের আগে আগে বস্তা ভর্তি খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট হাতে পেয়ে খুশি দুঃস্থ পরিবারের মহিলারা ।
কোভিড অতিমারির সময়কালে দীর্ঘ দিন যাবৎ লকডাউন থাকে।তার জেরে গোটা দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যের বহু মানুষজনও বিপাকে পড়েন।বিপাকে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পান নি পূর্ব বর্ধমান জেলার অনেক দুঃস্থ মানুষজন । কোভিড অতিমারি কাটলেও জেলার বহু দুঃস্থ পরিবার এখনও সেভাবে আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন নি । সেই বিয়টি মাথায় রেখে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ,বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাদ্য উৎপাদনকারী সংস্থা নেসলে ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জেসিআই এদিন দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ায় । জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানিয়েছেন ,এইসব খাদ্য সামগ্রী স্পন্সর করছে নেসলে । সেই সব খাদ্য সামগ্রী বিতরণের বিষয়ে তারা পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশকেই মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছে। এদিন জামালপুর ও মেমারি থানা এলাকার দুঃস্থদের এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হল । একই সঙ্গে পুলিশ সুপার জানার আসন্ন দুর্গা পুজোর আগে গোটা মেমারি পৌরসভা এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলার কাজ শেষ করে ফেলা হয়েছে । এদিন তার কার্যকারীতারও আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হল ।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ’জেসিআই’ এর এই রাজ্যের সভাপতি জগন্নাথ দাস বলেন,’কোভিড অতিমারী পরবর্তী পরিস্থিতিতে নেসলে ও জেসিআই যৌথ ভাবে দুঃস্থ মানুষজনের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয়েছে । সেই মত গোটা পশ্চিম বাংলার আড়াই হাজার মানুষজনকে নানা খাদ্যসামগ্রী ভর্তি সাড়ে ১৭ কেজি ওজনের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়েছে । তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার পাঁচ শতধিক দুঃস্থ মানুষজনও রয়েছেন ।’।