এইদিন ওয়েবডেস্ক,দুমকা,২৯ আগস্ট : দু’পাশে দুই পুলিশকর্মী । আসামির হাতে পড়ানো দড়ি ধরে এক পুলিশকর্মী তাকে গাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছে । সেই সময় কাউকে বা কোনো কিছু দেখে হাসতে দেখা যাচ্ছে আসামিকে । ঝাড়খণ্ডের দুমকায় অঙ্কিতা সিং (১৮) নামে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত শাহরুখ হুসেন নামে ওই আসামির অনুশোচনাহীন ও নির্লজ্জতায় ভরা এই হাসির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে নেটিজেনরা । দাবি উঠছে ফার্স্ট ট্রাক কোর্টেই যেন ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয় খুনির । আর এই দাবিতে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড চলছে ‘হ্যাশট্যাগ জাস্টিস ফর অঙ্কিতা’ ।
ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার নগর থানা এলাকার জারুয়াডিহ গ্রামে বাড়ি নিহত অঙ্কিতা সিং-এর । মুসলিম বহুল ওই গ্রামে অঙ্কিতাদের বাড়ির পাশাপাশি বাড়ি খুনি শাহরুখ হুসেনদের । মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে অঙ্কিতা জানিয়ে গেছেন, যাতায়তের পথে প্রায়ই তাঁকে হয়রানি করত শাহরুখ । বন্ধুত্বের প্রস্তাব না মানলে খুনের হুমকি পর্যন্ত দিত । হুমকি দেওয়া হত অঙ্কিতার বাবা-মাকেও ।
অবশেষে সত্যি সত্যিই সে অঙ্কিতাকে নৃসংসভাবে খুন করে দিল । গত ২৩ আগস্ট ভোরের দিকে অঙ্কিতার ঘরের খোলা জানালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শাহরুখ । হাসপাতালে ৫ দিন জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন অঙ্কিতা । কিন্তু রবিবার ভোর আড়াইটার দিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন । এদিকে ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি । শাহরুখ হুসেনের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি উঠতে শুরু করে ।
এদিকে ঘটনার দিনেই খুনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তাকে আদালতে তোলা হয় সোমবার । আর তখনই লক্ষ্য করা যায় তার চোখে মুখে অনুশোচনার কোনো ছাপই নেই । হাসতে হাসতে সে পুলিশের গাড়িতে ওঠে । গাড়িতে বসে গোঁফে তা দেয় । এই ভিডিও শেয়ার করে অ্যান্টি রেপ অ্যাক্টিভিস্ট যোগিতা ভায়ানা টুইট করেছেন,’দেখো এই নরখাদক, রাক্ষসটা কেমন হাসছে যেন কিছু পদক জিতেছে, ও ঝাড়খণ্ডের দুমকার এক মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অপরাধ করেছে । কবে এই জানোয়ারের ফাঁসি হবে ? জাস্টিস ফর অঙ্কিতা ।’
গৌরব সি সাওয়ান্ত নামে এক ইউজার্স লিখেছেন, ‘দুমকার দানব : কথা বলতে অস্বীকার করায় শাহরুখ এক অল্পবয়সী হিন্দু মেয়েকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল । সে মারা গেছে। এই ধরনের দানবের একটাই শাস্তি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মৃত্যুদণ্ড। যারা মেয়েদের উপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করার বা তাদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার দুঃসাহস করে তাদের অবশ্যই আদালতের দ্বারা বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে । প্লিজ ফাস্ট ট্র্যাক বিচারপতি ।’।