প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৬ আগষ্ট : বাড়ি থেকে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠলো ইটভাটার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।এই ঘটনা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার কুলিয়া গ্রামে।তারই মধ্যে ইটভাটা ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দেয় রায়নার তেয়ান্ডুল গ্রাম নিবাসী অভিযুক্ত ম্যানেজার তারাপদ মাইতি। খবর পেয়ে রায়না থানার পুলিশ এলাকায় পৌছে নির্যাতিতা তরুণীকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।নির্যাতিতার বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও এস সি-এস টি সম্প্রদায়েয় মহিলার উপর নির্যাতনের ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তের সন্ধান চালাচ্ছে ।
রায়নার কুলিয়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় বসবাস করেন নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার । তরুণীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন,মোটর বাইক সারিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি কুলিয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন । তখন তাঁদের গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁকে দাঁড় করায় । এরপর ওই ব্যক্তি বলেন,আমার মেয়ে অসুস্থ অবস্থার শুকুর গ্রামের শ্মশান কালি তলায় পড়ে ছিল । সেখানকার লোকজন আমার মেয়েকে উদ্ধার করে রায়না হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে ওই ব্যক্তি জানান।
নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন,পরিচিতের কাছ থেকে এমন ঘটনার কথা শুনেই তিনি রায়না হাসপাতালে যান । সেখানে গিয়ে তিনি তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন,গোটা কুকীর্তির নায়ক তাঁদের এলাকার ইট ভাটার ম্যানেজার তারাপদ মাইতি ওরফে সুরোজ । তরুণীর বাবার দাবি,তারাপদ মাইতি তাঁদের পূর্ব পরিচিত । তাঁর মেয়েও তারাপদকে চিনতো ।বৃহস্পতিবার বেলায় সাড়ে ১২ টা নাগাদ তারাপদ ফোন করে তাঁর মেয়েকে ইট ভাটায় আসতে বলে । সরল বিশ্বাসে তাঁর মেয়ে ইটভাটায় যায়। সেখানেই তাঁর মেয়েকে তারাপদ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । নির্যাতনের কারণে তাঁর মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারাপদ ইটভাটা ছেড়ে পালায় । পুলিশ জানিয়েছে ,অভিযোগের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট ধারায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে । অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে ।তার সন্ধান চালানো হচ্ছে ।।