এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,২০ আগস্ট : বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের বেলুট রসুলপুর এলাকায় শালী নদীর উপর বাঁশের সেতু ভেঙে জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল প্রায় ১৪ টি গ্রামের বাসিন্দারা । শনিবার সকালে নদীর জলের তোড়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই সেতুটি । এদিকে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে চরম বিপাকে পড়ে গেছে ওই সমস্ত গ্রাম মিলে কয়েক হাজার মানুষ ।
জানা গেছে, বেলুট রসুলপুরের অঞ্চলের গোস্বামীগ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শালী নদীর। তাই পারাপারের জন্য গ্রামবাসীরা উদ্যোগী হয়ে চলাচলের জন্য নদীর উপর একটি বাঁশের সেতু নির্মান করেছেন । পাত্রসায়ের ব্লকের মামুদপুর, ভগবতীপুর, সালখারা, দধারসহ প্রায় ১৪ টি গ্রামের বাসিন্দা মূলত ওই সেতুর উপরে নির্ভরশীল । স্কুল, কলেজ, বাজার হাট,অফিস কাছারি যাতায়ত করতে হয় এই বাঁশের সেতু দিয়ে । বছরের বাকি সময় নদীতে বিশেষ জল না থাকলেও বর্ষায় রুদ্র রূপ ধারন করে শালি নদী । ফলে প্রাণ হাতে করে ওই সেতু দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন গ্রামবাসীরা । এমনকি ছোটো-ছোটো পড়ুয়াদেরও ওই সেতু পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয় ।
এদিকে প্রায় প্রতি দিনই বৃষ্টিপাত হচ্ছে । শুক্রবারেও মুশলধার বৃষ্টিপাত হয়েছিল বাঁকুড়ায় । তার জেরে শালী নদীর জলস্তর বেড়ে যায় । ডুবে যায় বাঁশের সেতুটি । ফলে শুক্রবার রাত থেকেই সেতু দিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যাতায়াত । এদিন সকালে জলের তোড়ে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ,সেতুটি পাকা করার দাবি দীর্ঘদিনের । বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে বহু অনুনয় বিনয় করেও সেতুটি পাকা হয়নি । একবার সেতুটি পাকা করার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল । কিন্তু শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দের কারনে তা আটকে যায় । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসীর অভিযোগ,’মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে বলে ঢাক পেটালেও ওই সেতুটি পাকা করার বিষয়ে তাঁর দলের নেতাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই ।’ যদিও এই বিষয়ে শাসকদলের তরফ থেকে কোনো মতামত পাওয়া যায়নি ।।