প্রদীপ চট্টোপাধ্যায,বর্ধমান,১৬ আগষ্ট : একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে এসএফআই এর ডেপুটেশন দেওয়া নিয়ে মঙ্গলবার উত্তাল হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর । মেন গেটের তালা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আন্দোলনে সামিল হলেন ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের সদস্যরা । এদিন এসএফআই সগঠনের ছাত্র ছাত্রীরা শহর বর্ধমানের বাদামতলা এলাকা থেকে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে মেন গেট তালা বন্ধ দেখা তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।এর পরেই এসএফআই সদস্যরা প্রথমে গেট টপকানোর চেষ্টা করে, পরে লাঠি ও পাথর দিয়ে গেটের তালা ভেঙে তারা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে প্রবেশ করে।তার পরেই তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শ্লোগান দেওয়া শুরু করে।আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে যেতে গেলে সেখানেও গেটে তালা দেওয়া হয়। এরপর উপাচার্যের অফিসে ঢোকার মুখের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা।শেষে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী উপাচার্য আশীষ কুমার পানিগ্রাহীর আশ্বাসে এসএফআই এদিনের মত বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় ।
এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী এদিন বলেন,“বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতির আকড়ায় পরিণত হয়েছে। যে সংস্থা সময়ে রেজাল্ট বের করতে পারে না। তাকেই আবার ২১ কোটি টাকা দিয়ে বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে ২১’কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আমরা তার বিহিত চাই।এর সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যুক্ত আছেন বলে অনির্বাণ রায়চৌধুরী দাবি করেন“ । অন্যদিকে এদিন এসএফআইয়ের আন্দোলনের উত্তাপ চড়া দেখে পিছু হটেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি শুধু এসএফআই এর আন্দেলনের কায়দা কানুনের প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। তবুও এসএফআই গেট বন্ধ রেখে আন্দোলন করছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী উপাচার্য আশীষ কুমার পানিগ্রাহী বলেন , “উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা কলকাতায় আছেন।তাই আমি দুপুর থেকেই ছাত্রছাত্রীদের বলি ডেপুটেশন আমার কাছে জমা দিতে।কিন্তু ওরা জমা দেয় নি।ডেপুটেশন দিতে গেলে আগে থেকে তারিখ ও সময় জানাতে হয়।সেটা করলে উপাচার্য থাকতেন।কিন্তু আজ উনি নেই। কলকাতায় মিটিংয়ে গেছেন।তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাটীর প্রধান গেটে তালা ভাঙা ও কয়েকজন আধিকারিকের নেম প্লেট ভাঙা নিয়ে তিনি বলেন, এটা কারা করেছে, আমি তা জানি না।তবে কাজটি ঠিক হয় নি বলে তিনি মন্তব্য করেন ।’।