এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১৪ আগস্ট : শনিবার দুপুরে মালদা জেলার পুখুরিয়া থানার কাগাতিরা গ্রামে জঙ্গলের মধ্যে বছর পঁচিশের এক তরুনীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত ছিল ওই তরুনীকে খুন করে দেহ জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে । এরপর তরুনীর পরিচয় জানার পাশাপাশি দেহ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যে খুনের কিনারা করে ফেললো পুখুরিয়া থানার পুলিশ । খুনের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তরুনীর স্বামীকে । পুলিশ জানিয়েছে,নিহত মহিলার নাম রেশমা খাতুন । তাঁর স্বামীর নাম নাসির আলী । প্রাথমিক জেরায় ধৃত নাসির খুনের কথা কবুল করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । রবিবার ধৃতকে চাঁচোল মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,নাসির আলীর বাড়ি পুখুরিয়া থানার সম্বলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবনগর গ্রামে । শনিবার দুপুরে কাগাতিরা গ্রামের আম বাগানের একটি জঙ্গলের মধ্যে নাসিরের স্ত্রী রেশমা খাতুনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় । প্রথমে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি । অবশ্য দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ নিহত মহিলার পরিচয় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় । পরে পুখুরিয়া থানা থেকে খবর পেয়ে নিহত তরুনীর পরিবার এসে দেহ সনাক্ত করে । তরুনীর বাবা থানায় একটি এফআইআর রজু করে । অভিযোগ পেতেই পুকুরিয়া থানার ওসি গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্তে নামে পুলিশ । পুলিশ প্রথমেই রেশমার স্বামী নাসির আলীকে আটক করে জেরা করে। শেষে পুলিশের ম্যারাথন জেরায় সে কবুল করে তাঁর স্ত্রীকে অন্য কেউ নয়,বরঞ্চ সেই খুন করেছে ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,খুনি স্বামী নাসির আলী কবুল করেছে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত তাঁর স্ত্রী রেশমা খাতুনের সঙ্গে । শুক্রবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একপ্রস্ত অশান্তি হয়েছিল । আর তখনই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে নাসির । তারপর রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ তুলে নিয়ে গিয়ে কাগাতিরা গ্রামের আম বাগানের জঙ্গলে ফেলে দিয়ে চলে আসে । ধৃত নাসিরের সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানিয়েছে নিহত তরুনীর পরিবার ।।