জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),১৩ আগস্ট : যে কোনও দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো সেই দেশের যুব তথা ছাত্র সমাজ। অকুতোভয় এই যুব সমাজের হাত ধরেই আসে নানা পরিবর্তন। দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঘটনা সহ সমস্ত বিষয়ে যুব সমাজের ভূমিকা হয়ে ওঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রাসঙ্গিক বিষয়ে তাদের সচেতন করা খুব জরুরি হয়ে পড়ে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে জাতিসংঘ যুব সমাজের জন্য সচেতনতামূলক দিবসের কথা অনুভব করে। তারই ফলশ্রুতি হিসাবে ১২ ই আগষ্ট দিনটিকে বিশ্ব যুব দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০০০ সালের ১২ ই আগস্ট দিনটি প্রথম বিশ্ব যুব দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়। মূল লক্ষ্য ছিল সমাজ গঠনে যুব সমাজের ভূমিকা নিয়ে তাদের সচেতন করা। তারপর থেকেই বিশ্বের প্রতিটি দেশ ১২ ই আগস্ট দিনটি বিশ্ব যুব দিবস হিসাবে পালন করে চলেছে।
যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের এন.এস.এস অর্থাৎ জাতীয় সেবা প্রকল্পের পক্ষ থেকে তেইশ তম বিশ্ব যুব দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে এনএসএস এর সিনিয়র ও জুনিয়র সদস্যরা র্যালি করে তাদের ‘অ্যাডাপ্টেড’ দুটি পাড়ার অন্যতম বাগানপাড়ায় যায়। ‘আজাদী কি মহোৎসব’ কার্যক্রমের অন্তর্গত ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অর্থাৎ ‘সব ঘরে পতাকা’ উত্তোলন করার জন্য সেখানকার প্রতিটি বাড়িতে একটি করে জাতীয় পতাকা দেওয়া হয় এবং এর গুরুত্ব তাদের বুঝিয়ে বলা হয়। শুধু তাই নয় পথ চলতি মানুষের হাতেও তুলে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা। এরপর সদস্যরা মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ফিরে আসে এবং সেখানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে এনএসএস-এর অন্যতম সদস্যা সায়ন্তনী ব্যানার্জ্জী। গুসকরা বিট হাউসের ওসি নীতু সিং সমাজ গঠনে যুব সমাজের ভূমিকা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন এবং তাদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান। প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া অন্যান্য বক্তারাও এই দিনটির গুরুত্ব সবার সামনে তুলে ধরেন। শুধু তাই নয় সবুজায়নের লক্ষ্যে মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দশটি চারাগাছ রোপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা ড: সাবিনা বেগম, বিশেষ অতিথি ছিলেন গুসকরা বিট হাউসের ওসি নিতু সিং এবং এন.এস.এস এর প্রোগ্রাম অফিসার মাণিক বিশ্বাস, সিনিয়র ভলাণ্টিয়ার শৌভিক দাস, জুনিয়র ভলেন্টিয়ার শুভদীপ দাস, রামবাহাদুর ছেত্রী, স্নেহা ঠাকুর ,দেবলীনা বক্সী,সায়ন্তনী ব্যানার্জ্জীসহ অন্যান্যরা । শৌভিক দাস বললেন, ‘প্রতি বছর আমরা নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিনটির গুরুত্ব স্হানীয় যুব সমাজের সামনে তুলে ধরি এবং হাতে হাত মিলিয়ে নিজ নিজ এলাকায় সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের পরামর্শ দিই।’।