জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,দমদম,১২ আগস্ট :
কয়েকদিন ধরেই ওদের মন খারাপ। সবাই রাখী পড়বে, আনন্দ করবে কিন্তু ওরা? ওরা উত্তর দমদমের অর্পিতা ইন্দ্রের ‘আদরবাসার’ আদরের সন্তান। ওদের পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য নাই। আবার নিজের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে লকডাউনের সময় থেকেই ওদের টিফিন সহ পড়াশোনার ব্যবস্থা করে চলেছেন অর্পিতা। তার পক্ষেও অতিরিক্ত খরচ বহন করা কষ্টকর। স্বাভাবিক ভাবেই সকাল থেকেই ওদের মন খারাপ। ঠিক তখনই এগিয়ে এলেন এলাকার বাসিন্দা আইসিডিএস-এর অবসরপ্রাপ্ত সুপার ভাইজার স্মৃতি রায়।
১১ই আগস্ট ছিল স্মৃতি রায়ের মা নমিতাদেবীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৮ সালে রাখী পূর্ণিমার দিন না ফেরার দেশে তিনি চলে গিয়েছিলেন। প্রতি বছর বিভিন্ন এলাকার দুস্থ শিশুদের মাঝে স্মৃতিদেবী নিজের মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে চলেছেন। এবার তিনি বেছে নিয়েছেন আদরবাসার শিশুদের। প্রসঙ্গত কর্মসূত্রে স্মৃতিদেবী ও অর্পিতা দেবী একই দপ্তরের কর্মী।

নিজে উপস্থিত থাকতে না পারলেও স্মৃতিদেবী আদরবাসার শিশুদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলেন আদরের রাখী এবং শিশুদের প্রিয় সব খাবার। সকাল থেকে বিষণ্ন থাকা আদরবাসার সকল শিশুদের চোখে মুখে ফুটে ওঠে খুশির ঝিলিক।
স্মৃতি দেবী বললেন,’আমার মা শিশুদের খুব ভালবাসতেন। মা বিশ্বাস করতেন নিষ্পাপ শিশুদের হাসির মধ্যেই পাওয়া যায় প্রকৃত আনন্দ। তাই আমি আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী শিশুদের মধ্যে পালন করার সিদ্ধান্ত নিই।’
আদরবাসা যার মানস কন্যা সেই অর্পিতা দেবী বললেন,’রাখীর দিন কিভাবে আমার আদরের শিশুদের মুখে হাসি ফোটাব সেটা ভেবে খুব চিন্তিত ছিলাম। যেভাবে স্মৃতি ম্যাডাম সাহায্যের হাত বাড়িয় দিয়েছেন তার জন্য ওর কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব। আশাকরি আগামী দিনে আরও অনেক সহৃদয় মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন ।’।

