এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১১ আগস্ট : পুলিশ গরু পাচার মামলার টাকা গ্রীন করিডর করে বীরভূম থেকে কলকাতায় পৌঁছে দিত বলে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । বৃহস্পতিবার বীরভূমের বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে তাঁকে তুলে আনে সিবিআই । আর এর অব্যবহিত পরেই দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত মজুমদার । আর তখনই তিনি দাবি করেন, ‘আমার বিশ্বাস ঠিকমতো তদন্ত হলে জানা যাবে গ্রিন করিডর করে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম জেলা থেকে টাকা পুলিশের মাধ্যমে কলকাতায় পৌঁছে যেত ।’ কিন্তু কোথায় পৌঁছাতো সেই টাকা ? এর উত্তরে সুকান্ত বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল কোনো মন্তব্য করলেই তাঁকে বাচানোর জন্য যারা মঞ্চে অবতীর্ণ হতেন তাঁদের কাছেই এই টাকা পৌঁছতো ।’ তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের দোর্দোণ্ডপ্রতাপ নেতা যিনি নকুল দানা পাঁচনসহ নানা তত্ত্ব পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আমদানি করেছিলেন। সেই নেতা এই মুহুর্তে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হেফাজতে । আমার বিশ্বাস এই মামলায় জড়িতদের নাম মানুষের সামনে আনবে সিবিআই । তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে ।’
তবে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর পাশে দাঁড়াবে না বলে মত প্রকাশ করেন সুকান্ত । এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতিই হল ইউজ এন্ড থ্রো । কিষানজী থেকে শুরু হয়েছে । ব্যবহার করে তাকে ঝেড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে । এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঘোষিত নীতি । সেটা অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও তিনি প্রয়োগ করবেন বলে মনে হয় ।’
পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘যে অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের বাজারে মাছ বিক্রেতা হিসাবে জীবন শুরু করেছিলেন আজ তার সম্পত্তি কত শত বা হাজার কোটি তার হিসাব নেই । শোনা যায় বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালের মালিকও নাকি অনুব্রত মণ্ডল । বকলমে অন্যের নাম দিয়ে চালাচ্ছেন সেগুলি । আগামী দিনে তদন্ত হলে তা সামনে আসবে ।’ তিনি বলেন, ‘১০ বার সমন পাওয়ার পর এসএসকেএমে গিয়ে বাচার চেষ্টা করলেন অনুব্রত মণ্ডল । সেখান থেকে ফিরে নিজের এলাকার হাসপাতালের সুপারকে চাপ সৃষ্টি করে বাড়িতে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করলেন । কিন্তু সেই ডাক্তার মিডিয়ার সামনে বলে দেন তার ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই ।
অনুব্রত মণ্ডল তার ফিসচ্যুলার অপারেশন করার জন্য বারবার প্রশাসনকে চাপ সৃষ্টি করছিল । অর্থাৎ অনুব্রত বুঝতে পারছিলেন আগামী দিনে তার সঙ্গে কি হতে চলেছে । সেই জন্য তিনি বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন ৷ আজকে সেই খেলা শেষ হয়েছে ।’ তিনি বলেন,’সিবিআইয়ের গ্রেফতারি নিয়ে এতদিন অনুব্রত মণ্ডল টেনশনে ছিলেন । এখন সেই টেনশন চলে গেল । এরপর ওনার শারিরীক অবস্থার উন্নতি হবে বলে মনে হয় ।’।