প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১০ আগষ্ট : ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ মেরে এক যুবককে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল আর এক যুবক ।বুধবার বর্ধমান ২ ব্লক বিডিও অফিস ও দেওয়ানদিঘী থানার খুব কাছেই এই ঘটনাটি ঘটে । নিহত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ দাস । তাঁর বাড়ি বর্ধমানের বিজয়রাম এলাকায়। বিশ্বজিৎকে খুনের দায়ে পুলিশ যে যুবককে গ্রেপ্তায় করেছে তার নাম ধীমান ঘোষ । এই ঘটনায় দেওয়ানদিঘী এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,এদিন সকালে আচমকাই যুবক ধীমান ঘোষ ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয় বিশ্বজিত দাস নামে অপর এক যুবককের গলায় । গলায় কোপ লাগা অবস্থায় বিশ্বজিৎ কিছু দূর যাওয়ার পরেই রাস্তায় লুটিয়ে পরে। বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকলেও কেউ তার কাছে এগিয়ে আসেনি।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ।প্রায় একই সময়ে পৌছান ডি.এস.পি ( হেড কোয়ার্টার) অতনু ঘোষাল সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এলাকাবাসীর কথায় জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎতের গলায় কোপ বসিয়েই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ধীমান । সে বাড়িতে গেলে তাকে বাড়ির লোক তালাবন্ধ করে রাখে। পরিবার ও এলাকার লোক পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে,এর আগে ধীমান তাঁর বাবার গলায় একই ভাবে কোপ মেরেছিল ।
ডিএসপি ( হেড কোয়ার্টার) অতনু ঘোষাল জানান, কেন যুবক এইভাবে আক্রমণ করালো তা স্পষ্ট নয়। কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । অভিযুক্তের পুরনো কোনো রেকর্ড আছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।।