এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০৭ জুলাই : চীন ও আইএমএফের ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া শ্রীলঙ্কা । একই কারনে পাকিস্থান দেউলিয়া হওয়ার মুখে । এবার বাংলাদেশের দিতে হাত বাড়িয়েছে চীন । তাইওয়ান ইস্যুর মাঝেই দু’দিনের জন্য বাংলাদেশ সফর করে গেলেন চীনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ওয়াং ই । শনিবার বিকেলে বাংলাদেশে আসার পর রবিবার সকালে ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তিনি একটি বৈঠকে মিলিত হন । দু’দেশের মধ্যে চারটি চুক্তিতে স্বাক্ষর হয় । ‘এক চীন’ নীতিতে সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন ওয়াং ই । এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গণভবনে যান । হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সকাল পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হন তিনি । তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর ঠিক কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয় ।
এদিকে বাংলাদেশ ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি চীনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন,’চীন পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যৌথ সহযোগিতা চায় । এই উদ্যোগে তারা বাংলাদেশকে তারা পাশে চায়।’ এরপর তিনি ভারতকে কটাক্ষ করে বলেন,’কিছু রাষ্ট্র আছে যারা ভুল বোঝে বা চীনকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে । ওই বিষয়ে কিছুটা কথা হয়েছে ।’
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশ বর্তমানে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে । বৈদেশিক মূদ্রার ভান্ডার দ্রুত হারে খালি হওয়ার কারনে সম্প্রতি আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য দরবার করেছে বাংলাদেশ সরকার । এই পরিস্থিতিতে চীনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশকে ঋণের কোনো প্রস্তাব দিয়েছে কিনা এবং চীনের ফাঁদে শেখ হাসিনা পা দিল কিনা তাও প্রকাশ্যে আসেনি ।
চীনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম খোলসা করে কিছু বলেননি । তিনি শুধু বলেছেন,’এটা একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক। নিয়ম অনুযায়ী ওনারা যেটা বলেছেন সেটা জনসমক্ষে কতটা আনা হবে সেটা তাদের বিষয় । অবশ্যই তাইওয়ান,গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ(জিডিআই) ও গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের(জিএসআই) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ।’।