জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),০৬ আগস্ট : একটা সময় মনে করা হতো এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়া মানেই নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা। স্বাভাবিক ভাবেই আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবসময়ই একটা অজানা আতঙ্কে ভুগতে থাকে। ভুল ধারণার জন্য সাধারণ মানুষ তাদের এড়িয়ে চলে। কার্যত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তারা জীবন্মৃত অবস্থায় বেঁচে থাকে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে ওঠে ‘রেড রিবন ক্লাব’। তাদের নেতৃত্বে একের পর এক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। নতুন করে বেঁচে থাকার আশ্বাস পায় এইডস আক্রান্ত মানুষেরা। ব্যতিক্রম নয় এই রাজ্য।
প্রসঙ্গত,বিশ্বজনীন সচেতনতার প্রতীক হিসাবে এবং এইচ.আই.ভি আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রেড রিবন অর্থাৎ লাল ফিতা ব্যবহার করা হয়। যারা এই ফিতা ব্যবহার করার সুযোগ পায় ধীরে ধীরে তারা মানুষের ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের এনএসএস অর্থাৎ জাতীয় পরিষেবা প্রকল্পের অন্তর্গত রেড রিবন ক্লাবের উদ্যোগে ৬ ই আগষ্ট গুসকরা শহরের বুকে এইডস সংক্রান্ত একটি সচেতনতামূলক র্যালি বের হয়। র্যালিতে পা মেলান দুই প্রোগ্রাম অফিসার মনেশ্বর সরকার ও মানিক বিশ্বাস সহ এন.এস.এস এর সিনিয়র ভলান্টিয়ার শৌভিক দাস, সুজয় চ্যাটার্জী, বাবন পাল প্রমুখ এবং জুনিয়র ভলান্টিয়ার শুভদীপ দাস, সায়ন্তনী ব্যানার্জী, দেবলীনা বক্সী, ইতি মির্ধা সহ সমস্ত ভলান্টিয়াররা।
বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্লাকার্ড হাতে নিয়ে র্যালি শুরু হয় গুসকরা কলেজ মোড় থেকে এবং শেষ হয় স্কুল মোড়ে। চলার পথে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এবং পথ চলতি মানুষদের তারা এইডস নিয়ে অযথা আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়ার পরামর্শ দেয়। শুধু তাই নয় ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচার জন্য রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহারেরও পরামর্শ দেয়। পরে কলেজ চত্বরে র্যালি ফিরে এলে সেখানে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়।সেমিনারের অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা ড: সাবিনা বেগম, আইসিডিএস কর্মী সোমা তেওয়ারি, স্বাস্থ্য কর্মী প্রতিমা ব্যানার্জ্জী সহ আরও অনেকে। প্রতিটি বক্তা এইডস সম্পর্কে প্রত্যেককে সচেতন করেন।
জুনিয়র ভলান্টিয়ার সায়ন্তনী ব্যানার্জী বললেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ে আমরা মাঝে মাঝে সচেতনতামূলক র্যালির আয়োজন করে থাকি। এটি ছিল তারই এক অঙ্গ। আশাকরি কিছুটা হলেও মানুষের মন থেকে এইডস নিয়ে অযথা আতঙ্ক দূর হবে ।’।